পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার পে-লোডারের মালিক ও চালক - Bansdroni Student Death Case

দমদম ও চিৎপুর এলাকা থেকে পে-লোডারের মালিক ও চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পে-লোডারের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত চালককে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে ৷

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

Published : 4 hours ago

BANSDRONI STUDENT DEATH CASE
বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্লে-লোডারের মালিক ও চালক (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 4 অক্টোবর: বাঁশদ্রোণীতে পে-লোডারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন ৷ পে-লোডারের অভিযুক্ত চালক এবং মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ শুক্রবার কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ সাব-আর্বান বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত একথা জানিয়েছেন ৷ অভিযুক্তদের দমদম ও চিৎপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

শুক্রবার ডিসি সাউথ সাব-আর্বান বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত বলেন, "পে-লোডারে চাপা পড়ে কিশোরের মত্যুর ঘটনায়, বাঁশদ্রোণী থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 105 ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷" কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই পে-লোডারের চালকের খোঁজ শুরু করেছিল ৷ বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম ও চিৎপুর এলাকা থেকে দু’জনকে আটক করা হয় ৷ দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃত শম্ভু রাম পে-লোডারের চালক ৷ আর পে-লোডারের মালিক বিশ্বকর্মা শর্মা ঘটনার পর অভিযুক্ত চালককে পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার পে-লোডারের মালিক ও চালক ৷ (ইটিভি ভারত)

বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত বলেন, "চালককে লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিশ্বকর্মা শর্মার ভূমিকা ছিল বলে আমরা জানতে পারি ৷ তাই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ওই এলাকায় ছাত্র-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এবং পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগে স্থানীয় থানায় পাঁচটি মামলা রুজু হয়েছে ৷ প্রত্যেকটি মামলায় তদন্ত চলছে ৷ কারা পুলিশকে নিগ্রহ করেছিল, সেটাও আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি ৷ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং যাঁদের হেনস্তা করতে দেখা যাচ্ছে, তাঁদেরকে সম্পর্কে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ৷"

বুধবারের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বাঁশদ্রোণী থানার ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়েছিলেন ৷ সেই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাব-আর্বান বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত বলেন, "রূপা গঙ্গোপাধ্যায় থানায় এসেছিলেন ৷ আমরা ওঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম ৷ তাঁর দাবি ছিল, ধৃত মহিলাকে ছেড়ে দিতে হবে ৷ ওঁকে বোঝানো হয়, ওই মহিলার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হওয়ায় তাঁকে ছাড়া যাবে না ৷ আদালতে হাজির করাতে হবে ৷ কিন্তু, উনি তাঁর পরে ধরনায় বসেন ৷ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে কাল সকালে গ্রেফতার করা হয় ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details