কলকাতা, 22 মার্চ: গার্ডেনরিচের বহুতল নির্মীয়মান বাড়ি ভাঙার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 11 ৷ বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় আব্দুল রউফ নিজামী ওরখে শেরুর দেহ ৷ তাঁর বয়স 45 ৷ রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতল বাড়ি ভেঙে পড়ে ৷ সেদিন থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ জানা যায়, ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম ওরফে ওয়াসির খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি ৷ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল লালবাজার ৷ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে পায় উদ্ধারকারীরা ৷ রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসলে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
17 মার্চ, রবিবার, গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির উপর নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে ৷ এই ঘটনায় এলাকার সিন্ডিকেটের মাথার নাম পায় কলকাতা পুলিশ । রাতে বহুতলটি ভেঙে পড়ার সময় তার মধ্যেই ছিলেন আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু ৷ শেরুর পরিবারও দাবি করে, বাড়ি ভেঙে পড়ার সময় তিনি সেখানেই সিন্ডিকেটের ঘরে ছিলেন । ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে ছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছিল ।ঘটনার 4 দিনের মাথায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মিলল শেরুর দেহ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, শেরু ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের 'সেনাপতি' ছিলেন ৷ এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ পরিচালনা করত শেরু ৷ তার অধীনে ছিল পরভেজ আহমেদ, শামিম শেখ এবং গুড্ডু-সহ কয়েকশো যুবক । এই ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারে শেরু এলাকার ত্রাস ছিলেন ৷ কোন প্রোমোটার কোন এলাকায় কাজ করবেন, তা দেখভালের দায়িত্ব ছিল শেরুর উপর ৷ তবে কে শেরুকে এই দায়িত্ব দিয়েছিল ? শেরুর মাথার উপর কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে ৷