পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বেআইনি নির্মাণে মিলবে না পানীয় জল-নিকাশি সংযোগ, কড়া দাওয়াই কলকাতা পৌরসভার - Kolkata Municipal Corporation - KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION

KMC New Decision: বেআইনি নির্মাণ রুখতে নয়া পদক্ষেপ কলকাতা কর্পোরেশনের ৷ এবার থেকে পানীয় জল ও নিকাশি সংযোগ দেওয়া হবে না বেআইনি নির্মীয়মান বহুতলে ৷

KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION
নয়া পদক্ষেপ কলকাতা কর্পোরেশনের (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 14, 2024, 4:06 PM IST

কলকাতা, 14 মে: শহরে বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে আরও কঠোর কলকাতা কর্পোরেশন । এবার থেকে পানীয় জল ও নিকাশি সংযোগ দেওয়া হবে না বেআইনি নির্মীয়মান বহুতলে ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা কর্পোরেশনের বিল্ডিং বিভাগ ।

কলকাতার একাধিক এলাকায় প্রোমোটাররা বেআইনিভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন ৷ মানবিক কারণ বশত পরে সেই নির্মাণ বেআইনি হলেও পুরো ভেঙে ফেলা যায় না । আবার লোকজন থাকায় তাদের নিকাশি ব্যবস্থা যেমন করে দিতে হয়, তেমনি পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে হয় বসবাসকারীদের জন্য । শেষে দেখা যায় অসাধু প্রোমোটার চক্র লাভবান হলেও ঝুঁকির মুখে পড়ে যান বাসিন্দারা ৷ ক্ষতি হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশনের ।

সেকারণে এবার বেআইনি নির্মাণের প্রবনতা আরও কমাতে এই নয়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ নির্মাণ যদি আইন মাফিক না হয়, তাহলে কোনও ভাবেই পানীয় জলের লাইন ও নিকাশি ব্যবস্থা করবে না কলকাতা পৌরসভা ৷ এই প্রসঙ্গে পৌরসভার এক আধিকারিক বলেন, "এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা শুরুতেই আটকানো গেলে বেআইনি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে খানিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। বরো ভিত্তিক নির্মাণ তালিকা করে তাদের কোন কোন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিসি মিলেছে সেটা দেখে নিকাশি ও পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে । যদি বেআইনি ভাবে নির্মাণ হয়, সে ক্ষেত্রে সিসি পাবে না । আর সিসি না পেলে পানীয় জল বা নিকাশি সংযোগ পাবে না ।"

কলকাতা কর্পোরেশন নিয়ম হল, বাড়ি নির্মাণের অনুমতি, নকশা ও সিসি দেখার পর এই দুই পরিষেবা দেওয়া হয় নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে । কিন্তু অধিকাংশ বেআইনি নির্মাণেই দেখা যায় জল ও নিকাশি সংযোগের ব্যবস্থা করে ফেলেন প্রোমোটাররা ৷ এই বেনিয়মে তাদের সঙ্গ দেন ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়াররা ৷ শুধু তাই নয়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলরের যোগসযোগও থাকে ৷ অর্থাৎ, একটা অসাধু সিন্ডিকেট কাজ করে ।

আবার অনেক ক্ষেত্রেই ফ্ল্যাটের কাজ সম্পূর্ণ না করেই সেটি বিক্রি করে চলে যায় প্রোমোটাররা । ফলে বাসিন্দাদের কথা ভেবে করপোরেশ বাধ্য হয় পরিষেবা দিতে । তাই এবার একদম ওয়ার্ড ও বরো ভিত্তিক নজরদারি থাকবে এই নির্দিষ্ট বিষয়ে । গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতায় লাগাম দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন পৌর আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন:

ABOUT THE AUTHOR

...view details