কুলতলি, 22 অগস্ট: আরজি করের ঘটনার পর এখনও হুঁশ ফেরেনি রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের । জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত পুরুষদের ৷ অথচ সেখানে বড় বড় করে লেখা রয়েছে যে, পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ । হাসপাতাল চত্বরে নেই কোনও সিসিটিভি ৷ ফলে অসুবিধায় পড়েছেন হাসপাতালের নার্স থেকে শুরু করে মহিলা চিকিৎসকরা । আরজি কর কাণ্ডের পর তাঁরা এই অবস্থায় প্রবল আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন ৷
মহিলা ওয়ার্ডে অবাধে পুরুষের আনাগোনা (নিজস্ব ভিডিয়ো) সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসার একমাত্র ভরসার জায়গা কুলতলি ব্লক হাসপাতাল ৷ প্রতিদিনই দিনে ও রাতে বহু মানুষই আসেন চিকিৎসা করাতে ৷ রোগীকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রকার জোর করেই হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন অন্যান্য পুরুষরা ৷ রাত-বিরেতেও অচেনা অজানা পুরুষের আনাগোনা লেগে থাকে ৷
কুলতলি ব্লক হাসপাতালেের মহিলা ওয়ার্ডে অবাধেই ঢুকে পড়েন পুরুষেরা ৷ কখনও তাঁরা বসে আড্ডা দিচ্ছেন, আবার কখনও মহিলা ওয়ার্ডেই শুয়ে পড়ছেন ৷ এর বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানালেও কোনও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ ৷ হাসপাতালে কোনও সিসিটিভি নেই ৷ হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে সিভিক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও অনেক সময়ই তাঁর দেখা মেলে না ৷ ফলে শুধু মহিলা রোগীরাই নন, নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন কুলতলি ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত মহিলা কর্মীরা ৷ সম্প্রতি আরজি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা তাঁদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ৷
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা স্বাস্থ্যদফতরের এক আধিকারিক হাসপাতালের নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন । নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সিসিটিভি লাগানো-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি । হাসপাতালের সুরক্ষার খাতিরে চব্বিশ ঘণ্টা যাতে সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, সে জন্য পুলিশের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে তিনি জানান ।