পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

এবার বাগুইআটিতে হেলে পড়ল দুটি বাড়ি, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা - MULTI STOREY BUILDINGS TILT

23 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝুঙ্কু মণ্ডলের দাবি, তাঁর আমলে এই বাড়িগুলি হয়নি ৷ তিনি ঘটনাটি জানার পর বিধাননগর পুরনিগমকে চিঠি দিয়েছেন ৷

multi storey buildings tilt
বাগুইআটিতে হেলে পড়া দুটি বাড়ি (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 23, 2025, 6:06 PM IST

বাগুইআটি, 23 জানুয়ারি: বাঘাযতীন, কামারহাটির, ট্যাংরার পর এবার বাগুইআটি ৷ পরপর দুটি বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা ঘটল বিধাননগর পুরনিগমের 23 নম্বর ওয়ার্ডে জগৎপুরের নেতাজি পল্লিতে ৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, পুকুর বুজিয়ে গড়ে উঠেছে বাড়িগুলো ৷ আর সেগুলো কয়েক বছরের মধ্যেই একে অপরের গায়ে হেলে পড়েছে ৷ যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ৷ তাই এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝু্ঙ্কু মণ্ডল দাবি করেন, তিনি বাড়ি দুটি হেলে পড়ার ঘটনা জানতেনই না ৷ তবে জানার পর তিনি বিধাননগর পুরনিগমকে লিখিতভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন । তবে কাউন্সিলরের দাবি, তাঁর সময়ে এই বাড়িগুলি তৈরি হয়নি ৷ পূর্বতন তৃণমূল কাউন্সিলর আশা নন্দীর আমলে হয়েছে ।

আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা (ইটিভি ভারত)

জীবনহানিও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন 23 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝুঙ্কু মণ্ডল ৷ তিনি বলেন, "বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনাটা আমার অজানা ছিল ৷ আমি জানার পরই বিধাননগর পুরনিগমকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি ৷ এলাকায় লোক পাঠিয়েছি ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি পুরনিগম ও মেয়র, কমিশনারকে বলব এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৷ আমি গত দুই থেকে তিন বছর কাউন্সিলর হয়েছি ৷ বাড়িগুলি আমার আমলে হয়নি ৷ তবুও আমি দেখব কীভাবে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করা যায় ৷ এরপর থেকে বাড়ির বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নেব ৷"

হেলে পড়া একটি বাড়ির মালিক মিঠুন কর এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি ৷ অপর বাড়ির মালিক শম্পা ঘোষ বলেন, "আমরা বাড়ি তৈরির অনুমোদন নিইনি ৷ কারণ 15-20 বছর ধরে প্ল্যান পাস ও মিউটেশন বন্ধ ৷ সবাই এমনি বাড়ি করছে ৷ আমরাও করেছি ৷ কারও না কারও অনুমতি নিয়েই বাড়ি করেছে সকলে ৷ আমার তো দেখে মনে হচ্ছে না বাড়িটি হেলে গিয়েছে ৷ আমার বাড়ি হেলেনি ৷ ওরকম মনে হচ্ছে ৷ কাউন্সিলরকে কিছু জানাইনি ৷ আমরা যখন বাড়ি করি, তখন আশা নন্দী কাউন্সিলর ছিলেন ৷"

ঘটনায় তৃণমূলের নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি ৷ রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এটা হল তৃণমূলের বাংলা এগিয়ে বাংলা ৷ পাঁচতলা বাড়ি যেখানে হয় না, সেখানে আটতলা বাড়ির অনুমতি দিচ্ছে ৷ সমস্ত জায়গায় কাউন্সিলরদের রফা ৷ এক একজন ইঞ্জিনিয়ারের শুধু রোজগার দেখুন ৷ লুট চলছে ৷ ভূমিকম্প হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে ৷ তৃণমূলের আমলে টাকা দিলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ৷"

উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরনিগমের 3 নম্বর ওয়ার্ডে আর একটি বাড়ি হেলে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় চিন্তায় ফেলেছে সাধারণ মানুষকে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details