বোলপুর, 14 মে: বালিরঘাটের দখলদারিকে কেন্দ্র করে 2010 সালে তিনজন খুন হন ৷ আর 14 বছর আগের সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল মণিরুল ইসলাম, মুকুল রায়ের ৷ তার শুনানিতেই মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা । তবে আজ এই মামলা স্থানান্তরিত হয় কলকাতার বিধায়ক ও সাংসদদের বিশেষ আদালতে ৷ এদিন মুকুল রায়কে বেশ অসুস্থ দেখায় ৷ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও তিনি শুধু তাকিয়ে ছিলেন, কোনও উত্তর দেননি ৷
তবে প্রাক্তন বিধায়ক তথা খুনের ঘটনায় অভিযোগ মণিরুল ইসলাম বলেন, "2010 সালের একটি মামলায় আমি আর মুকুল রায় হাজিরা দিলাম ৷ ওই মামলায় আমাদের নাম বাদ হয়ে গিয়েছিল ৷ পরে তৃণমূলের কিছু নেতা মণিরুলকে ভয় পায় ৷ তাই পুলিশকে দিয়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়ে আমার নাম ঢোকায় ৷ তবে আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে ।"
লাভপুরের দ্বারকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুনিয়াডাঙা গ্রামে ময়ূরাক্ষী নদীর বালিরঘাট কার দখলে থাকবে, এই নিয়ে অশান্তি ছিল ৷ অভিযোগ, এই অশান্তির অবসানের জন্য 2010 সালের 8 জুন গ্রামে একটি সালিশি সভা বসে ৷ ওই সভায় বচসা থেকে শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি । বাড়ির উঠোনেই পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয় ধানু শেখ, কটুন শেখ ও ইসুদ্দিন শেখ নামে তিন জনকে ৷ এই ঘটনায় মণিরুল ইসলাম-সহ 51 জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই সানোয়ার শেখ ৷ সেই সময় মণিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লকের উপপ্রধান ছিলেন ৷ পরে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন । দলের টিকিট নিয়ে লাভপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হন তিনি ৷ এই মামলায় ফোন কলে কথোপকথন সূত্রে নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায়ের ৷ তবে মামলার চার্জশিটে 42 জনের নাম দেয় পুলিশ । তাতে চার্জশিট থেকে মণিরুল ইসলামের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল পুলিশ, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷