মালদা, 29 ডিসেম্বর:শ্বশুরবাড়ি থেকে 12 বছরের নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাল্যবিবাহ নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে সমাজের সচেতনতা নিয়েও। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে নাবালিকার পরিবারের কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। আপাতত দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই বালিকা। প্রায় চার মাস আগে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে সে । পরিবারের লোকজন প্রথমে বিয়ে মানতে রাজি না হলেও সমাজে লজ্জার ভয়ে চুপ করে যান। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করে ওই নাবালিকা । তার বাবা-মা কর্মসূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই বালিকার স্বামীও ওড়িশাতে কাজের খোঁজে যান ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় নাবালিকার শ্বশুরবাড়ি (নিজস্ব ছবি) অভিযোগ, শনিবার শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে ওই নাবালিকাও মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল । দুপুরে বাড়ি ফিরে আসে সে । কিছু সময় পরে শাশুড়ি বাড়িতে এসে ওই বালিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান । তড়িঘড়ি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং সেখান থেকে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করেন পরিবারের লোকজন। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই বালিকার ।
এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের কেউ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি । ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে । এদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধকারিক বলেন, "মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পরবর্তী তদন্ত আমরা শুরু করেছি ৷"