পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী - MINOR RAPE AND MURDER

নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় ৷ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হয় ৷

Minor Rape and Murder
নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ (প্রতীকী ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 14, 2024, 1:27 PM IST

ফরাক্কা, 14 অক্টোবর: ফরাক্কায় নাবালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা যুক্ত হল। পাশাপাশি পরিবারের দাবিতে ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যতে সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে অভিযুক্তকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, "রবিবার রাতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার পুননির্মাণ করা হবে।"

রবিবার ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ফরাক্কা রেল কলোনির মামার বাড়ি বেড়াতে আসা নাবালিকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিষুক্তের বাড়ির চৌকির তলা থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ৷ গ্রামবাসী ও পরিবারের লোক অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷ অভিযুক্তকে ফরাক্কা থানার নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের লোকজন শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শুধু খুনের লিখিত মামলা শুরু করে পুলিশ। রাতে পরিবারের চাপে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ যুক্ত করে তদন্ত শুরু করে ৷ ফলে তদন্তের গতিপ্রকৃতিও বদলায় ৷

ওই নাবালিকা পুজোয় মামার বাড়ি এসেছিল ৷ মামার বাড়িতে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলায় সময় অভিযুক্ত তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সাক্ষ্য ছিল তার বন্ধুরা। এরপর নাবালিকাকে খুঁজে না-পাওয়ায় পরিবার ও গ্রামবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানেই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়।

রাতভর গ্রামে উত্তেজনা ছিল। পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল। দেহ প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ার পর পরিবারের চাপে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details