বাইপাস-কাণ্ডে নয়া মোড়! বাবার প্রেমিকাকে ধরতে গাড়ির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্ত নাবালক

বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে তরুণী খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য ৷ তাঁর গতিবিধি জানতে ওই গাড়ির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্ত নাবালক ৷

কলকাতা, 31 জানুয়ারি: বাইপাসের ধারে তরুণীর গলার নলি কেটে খুনের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, এমন কাণ্ড ঘটাতে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল অভিযুক্ত নাবালক ৷ প্রাথমিক জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই তরুণীর ফোনের ‘লোকেশন’ খোঁজা হয় জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাসের ধারে এক তরুণীকে কোপানোর ঘটনা ঘটে ৷ পরে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয় এনআরএস হাসপাতালে ৷

সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার প্রেমিকার গতিবিধি জানার জন্য বাবার গাড়ির জিপিএস ট্যাক করার দরকার ছিল ৷ তাই মায়ের সঙ্গে একাধিক বার কথা বলে ওই নাবালক ৷ এরপর পরিকল্পনামাফিক বাবার গাড়ির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকে নাবালক ৷ জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে গাড়িটি বাইপাসে ধাবার সামনে রয়েছে ৷

সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায় ওই নাবালক ৷ কিন্তু বাবাকে না পেয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে সে ৷ এই খুনে নাবালককে সাহায্য করে তার মা এবং আরেক ব্যক্তি ৷ এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডিসি ইডি আরিশ বিলাল ইটিভি ভারতকে বলেন, "ধৃতদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ উঠে আসছে একাধিক নতুন নতুন তথ্য ৷ তবে ধৃত নাবালককে জেরা করে তদন্তকারীরা জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের এই তথ্যটি পেয়েছেন ৷"

তদন্ত নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে তদন্তকারীরা আপাতত নিশ্চিত যে এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া সংক্রান্ত বিবাদ ৷ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা এবং নাবালক-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে ৷ তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নাবালককে আটক করা হয়েছে ৷ আজই তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷

30 জানুয়ারি রাতে প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত মেট্রোপলিটনের সামনে এক তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে থাকে এক নাবালক ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পালাতে গেলে ওই তরুণীকে ধরে ফেলে নাবালক ৷ পরে নাবালিকার গলার নলি কেটে একাধিকবার কোপাতে থাকে নাবালক ৷ পরে অবশ্য এলাকার বাসিন্দারা ওই নাবালক এবং সঙ্গে থাকা অন্যদের ধরে ফেলে ৷

আরও পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ গতকাল রাতে ওই তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ শুক্রবার সকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তদন্তকারীরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, ওই তরুণীর শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷