রাজমাতার কাছে উদঘাটনের প্রশ্ন মমতার মন্ত্রীর কৃষ্ণনগর, 31 মার্চ: "রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর পারিষদদের নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন গোপাল ভাঁড়। আর তারপর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ইতিহাসটা অমৃতা রায়কে জিজ্ঞাসা করুন?" রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে ব্রিটিশদের আঁতাত নিয়ে রাজবংশকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, "এর পিছনে কী রহস্য রয়েছে? সেই রহস্য পারলে অমৃতা রায় উদঘাটন করুন ৷"
উল্লেখ্য, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালে তাঁর সভাসদে ছিলেন গোপাল ভাঁড়। গোপালের বুদ্ধিমত্তার কাহিনী কারও অজানা নয়। এবার সেই গোপালকে নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেন উজ্জ্বল ৷ এদিকে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পুনরায় প্রার্থী করেছে প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। অন্যদিকে, দীর্ঘ জল্পনার পর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বংশের বধূ অমৃতা রায়কে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবার সেই রাজ পরিবার নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিজ্ঞান প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস।
তিনি বলেন, "যিনি ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিলেন এখন তাঁর নাম নিয়ে প্রচার হচ্ছে। এটা বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়। আগে রাজা-প্রজাদের উপর অত্যাচার করত। সেই সব দিন এখন পার হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন রাজার শাসন চাইছেন না। দেশে গণতন্ত্র এসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে তার ইতিহাস নিয়ে প্রচার করা বড় সর্বনাশের কথা।"
পাশাপাশি মন্ত্রী আরও বলেন, "রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর সভা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনাই ঠিক হয় ব্রিটিশদের হয়ে লড়াই করতে হবে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। সেখানে প্রতিবাদ করেছিলেন গোপাল ভাঁড়। আর সেই প্রতিবাদ করার পরেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে যিনি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী সেই অমৃতা রায়কে জিজ্ঞাসা করুন যাতে ইতিহাসটা উদঘাটন করা যায়।"
আরও পড়ুন:
- বাংলায় ফের একা লড়ার বার্তা মমতার, জল্পনা বাড়ালেন 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ নিয়ে
- মাথার স্টিকার কবে খুলবেন ? দিলীপের মন্তব্যের পরই ব্যান্ডেজ সরল মুখ্যমন্ত্রীর কপাল থেকে
- উত্তরে মহারণ! একইদিনে কোচবিহারে মোদি-মমতা