পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শিক্ষক বদলি মামলায় ফের অভিযোগের তির মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে - Madhusudan Bhattacharya - MADHUSUDAN BHATTACHARYA

Teacher Transfer Case: বর্ধমানের বাণী পীঠ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা আসমা আলমকে ইচ্ছেমত বদলি করেছে মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য তথা পূর্ব বর্ধমানের ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অভিযোগ তাঁর।

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 14, 2024, 9:03 PM IST

কলকাতা, 14 অগস্ট: শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলায় ফের মেমারির বিধায়ক মধূসুদন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। বহু বছর ধরে নিয়ম মেনে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গঠন না করে কী ভাবে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যানের কথায় শিক্ষক বদলি সম্ভব? প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলাকারী আশমা আলমের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "বহু বছর ধরে নিয়ম মেনে ডিপিএসসি (ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল) গঠন করেনি রাজ্য। বরং, প্রতি ডিপিএসসির মাথায় চেয়ারম্যান করে বসানো হয়েছে শাসক দলের বিধায়কদের। এঁরাই নিয়ম না মেনে বদলি করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।" তাঁর অভিযোগ, বর্ধমানের বাণী পীঠ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা আসমা আলমকে ইচ্ছে মতো বদলি করেছেন মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য তথা পূর্ব বর্ধমানের ডিপিএসসির চেয়ারম্যান ।

যদিও, আদালতে রাজ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ডিপিএসসি সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। মামলাকারী পরের শুনানির দিন রাজ্যের রিপোর্টের ভিত্তিতে নিজের বক্তব্য জানাবে। পাশাপাশি, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, মামলাকারীকে 3 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বদলি করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি 23 অগস্ট।

উল্লেখ্য, এর আগে অন্য একটি বদলি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মেমারির বিধায়ককে 2 লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিক্ষকের স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি তথ্য চাওয়া হয়েছিল মধুসূদনের কাছে। তিনি পর্ষদের উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে দিয়ে হলফনামা জমা দেন হাই কোর্টে।তাতেই বেজায় চটে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারপতি মেমারির বিধায়ককে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মধুসূদন আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি করোনা এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন। তাই নিজে এই কাজ না করে পদস্থ আধিকারিককে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। এ জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী । কিন্তু, তাতেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন। অন্য কেউ ওই কাজ করবে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details