কলকাতা, 18 মার্চ: নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল দেশের রাজনীতি ৷ এবার এই ইস্যুতে মোদি-মমতাকে একযোগে নিশানা করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর কথায়, পুলওয়ামাকাণ্ডের পর নির্বাচনী বন্ডে পাকিস্তান থেকে টাকা এসেছে বিজেপির ফান্ডে ৷ কর্পোরেট কোম্পানির শ্রমিক প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি দাবি করেন, বাংলার প্রতিনিধি হিসেবেই সীতারাম ইয়েচুরি রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন 2017 সালে এই নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতা করেন । পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় জিতে এসেছেন । প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
রবিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "নির্বাচনী বন্ড সবথেকে বড় দুর্নীতি । এই দুর্নীতির টাকাই সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি, তারপরে তৃণমূল । কোথা থেকে এল এই টাকা? ওষুধের দাম বাড়িয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো এই টাকা দিয়েছে । এই টাকা মোদি আর মমতা ভাগ করেছে । আমাদের খনি আমাদের বন্দর, এসবের টাকা এইভাবে চুরি হয়েছে । সন্দেশখালি থেকে গোটা রাজ্যকে যেমন তৃণমূল খালি করেছে, তেমনই ব্যাংক খালি করে দিয়ে গোটা দেশের টাকা মোদি লুট করেছে । এ কারণেই আজকে মমতা চুপ, মোদিও চুপ । নাটক করছে তারা ৷ এখন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সিপিআইএম গর্বের সঙ্গে বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, তারা এই দুর্নীতির টাকা খায়নি ।"
সিপিএম নেতার বক্তব্য, "আমরাই প্রথম 2017 সাল থেকে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধীতা করে আসছি । আদালতে গিয়েছি দীর্ঘদিন, জয়ী হয়েছি । এমনকী, এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ যা যা বলছে সেই অভিযোগের কথা বহু আগে থেকেই সিপিএম বলে এসেছিল । এ কারণে মোদি-মমতা চেয়েছিল সিপিএম সংসদে না থাকুক, বিধানসভায় না থাকুক । ফলে এখন সাধারণ এবং এই চুরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদে কারা কথা বলবে । মানুষের ঐক্যের কথা কারা বলবে, বেকার ছেলেমেয়েদের কাজের কথা কারা বলবে । মাফিয়া রাজ চলছে দেশে । বেআইনিভাবে কর্পোরেট লুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে । বিজ্ঞাপনের মোড়কে সমস্ত দুর্নীতিকে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে । সরকারি বরাত পেতে ঘুষের ব্যবস্থা নির্বাচনী বন্ড ।"