মালদা, 19 সেপ্টেম্বর: পাস আউটদের হাতে অভীক দে’র শংসাপত্র তুলে দেওয়ার ছবি ৷ সেই ছবি দেওয়ালে সেঁটে বিক্ষোভ দেখালেন মালদা মেডিক্যালের পড়ুয়ারা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ৷ এই নিয়ে এমএসভিপির কৈফিয়ত দাবি করেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মালদা মেডিক্যালের সুপার প্রসেনজিৎ বর ৷
মালদা মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ (ইটিভি ভারত) মেডিক্যালের পড়ুয়াদের অভিযোগ, রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলির মতো মালদা মেডিক্যালেও রয়েছে থ্রেট কালচার ৷ এই সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণ যাঁদের হাতে রয়েছে, তাঁদেরই একজন আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের 'অনুগত' অভীক দে ৷ অভীককে নিয়ে ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে একাধিক খবর হয়েছে ৷ কিন্তু সেই অভীকই গত বছর মালদা মেডিক্যালের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ৷ একই মঞ্চে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার প্রসেনজিৎ বরকে ৷ এ নিয়ে মেডিক্যালে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক ৷ এমএসভিপির ঘরের বারান্দায় সেই ছবি সেঁটে দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, গত বছর উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ডিগ্রি প্রদানের অনুষ্ঠানের মঞ্চে অভীক দে’কে দেখা গিয়েছিল ৷ শুধু মঞ্চে উপস্থিত থাকাই নয়, তিনি পড়ুয়াদের হাতে ডিগ্রির সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন ৷ সেই মঞ্চে ছিলেন এমএসভিপি প্রসেনজিৎ বর ৷ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা যে এই অভীক, তা বিলক্ষণ জানেন এমএসভিপি ৷ তাহলে ডিগ্রি প্রদানের অনুষ্ঠানে অভীককে আমন্ত্রণ জানানো হল কেন ? কে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ? সেটাই জানতে চান পড়ুয়ারা ৷
ডিগ্রি প্রদানের অনুষ্ঠানে অভীক দে কেন ? (নিজস্ব ছবি) আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়া প্রকৃতি মান্নার বলেন, "অভীক দে আমাদের কলেজের কেউ নন ৷ তিনি কেন 2023 সালে আমাদের কলেজের কনভোকেশনে এসেছিলেন, তিনি কে, কে তাঁকে সেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাই আমরা জানতে চেয়েছি ৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একই মঞ্চে অভীক দে আর এমএসভিপি রয়েছেন ৷ অভীক একজন ছাত্রীর হাতে ডিগ্রির শংসাপত্র তুলে দিচ্ছেন ৷ এখানে অভীক দে’র ছত্রছায়ায় কেউ রয়েছে বলেই আমাদের সন্দেহ ৷ নইলে তিনি এখানকার কনভোকেশনে আসবেন কেন ৷ আমরা চাই, কলেজে কলেজে থ্রেট কালচার বন্ধ হোক ৷ প্রতিটি কলেজে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসুক ৷ আমরাও কাজে ফিরতে চাই ৷ আমাদের গণতান্ত্রিক স্টুডেন্টস কাউন্সিলকে মান্যতা দেওয়া হোক ৷"
শংসাপত্র তুলে দেওয়ার ছবি সেঁটে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের (নিজস্ব ছবি) আরেক চিকিৎসক পড়ুয়া পৃথা রায় জানান, "স্যাররা যাতে বুঝতে পারেন এই কলেজেও অভীক দে’র প্রভাব রয়েছে ৷ সে পড়ুয়াদের প্রভাবিত করত ৷ আর থ্রেট কালচারের শিকড় এতটাই গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত যে, একজনকে দায়ী করা খুব মুশকিল ৷ এখনও আমার সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটলেও সিনিয়রদের কাছে এ নিয়ে অনেক শুনেছি ৷ শুধুমাত্র সন্দীপ বাহিনী আর শাসকের বিরোধিতা করায় তাঁদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ৷ ফলে এই কলেজে যে থ্রেট কালচার নেই, তা বলা যাবে না ৷"