কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সোমবার তার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ যদি সুপ্রিম নির্দেশ মেনে 10 সেপ্টেম্বর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন তাহলে আন্দোলনের ঝাঁজ কী কমবে ! কী মনে করছে শহরবাসী ?
জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (ইটিভি ভারত) কিছুজনের মতে, রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছেন যারা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে পারেন না ৷ তাই তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন ৷ তাঁদের কথা ভেবে ও বৃহত্তর সমাজকে সেবা প্রদান করার মানসিকতা থেকেই ডাক্তারদের মঙ্গলবার থেকে কাজে ফেরা উচিত । আমজনতার দাবি, পরিষেবাও চলুক ৷ তার পাশাপাশি আন্দোলনও চলুক ৷
গৃহবধূ সোমা রায় ও ব্যবসায়ী মহেশ বলছেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে আন্দোলনের ঝাঁজ কমবে না ৷ বরং জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে ৷ তাঁদের এবার কাজে ফেরাই উচিত ৷ রোগীরা অসুবিধায় পড়ছে ৷ কাজ করতে করতে আন্দোলন চলুক ৷"
শহরবাসী বৃদ্ধ চন্দন মুখোপাধ্যায়ের কথায়, "জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে কোনও প্রভাব পড়বে না ৷ কারণ এই আন্দোলন আর চিকিৎসকদের মধ্যে আটকে নেই ৷ পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশের মানুষ আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নেমেছে ৷ দিন দিন আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়বে বই কমনে না ৷" বছর 27-এর শোভন দত্তের বক্তব্য, "চিকিৎসকদের কাজ পরিষেবা দেওয়া ৷ তাঁরা পরিষেবা দিতে দিতে আন্দোলন করুক ৷ বাংলা জেগেছে এটা দেখেই ভালো লাগছে ৷"
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবিতে টানা একমাস ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ পাশাপাশি চলছে তাঁদের কর্মবিরতি ৷ সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আজ এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলেছে, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ৷ তাঁরা কী করেন এখন সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী ৷