কলকাতা, 5 অক্টোবর: মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসতে পারবেন না জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ পুজোর আগে ধর্মতলায় মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে হওয়া ভিড়, যানজট ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের একথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার ৷ বৃহস্পতিবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের করা ইমেলের জবাবে একথা জানানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, গতকাল রাত 9টা 55 মিনিটে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের তরফে লালবাজারের জয়েন্ট সিপি হেড-কোর্য়াটারের অফিসিয়াল আইডি-তে একটি ইমেল পাঠানো হয় ৷ সেখানে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল অর্থাৎ ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ সঙ্গে এক জুনিয়র ডাক্তারকে পুলিশ কর্মীদের মারধর ও হেনস্তার অভিযোগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয় ৷
জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের ইমেলের জবাব লালবাজারের (নিজস্ব চিত্র) আজ সকাল 10টা 28 মিনিটে সেই ইমেলের জবাব দিয়েছে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি হেড-কোর্য়াটার ৷ সেখানে স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান-বিক্ষোভ করা যাবে না ৷ ইমেলে লালবাজারের তরফে উল্লেখ করা হয়, "গত 4 অক্টোবর 2024 তারিখে রাত 9টা 55 মিনিটে আপনারা একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন ৷ তার প্রেক্ষিতে জানানো হচ্ছে, যে জায়গায় আপনাদের ধরনা ও অনির্দিষ্টকালের অনশনের জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল, ট্রাফিক সমস্যার কারণে সেই অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না ৷"
লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, "আপনাদের ঘোষিত কর্মসূচির জন্য ওই এলাকায় ব্যাপক যানজট ও সাধারণ মানুষের চলা ফেরার সমস্যা হবে ৷ এটা উল্লেখ্য যে, এই মুহূর্তে দুর্গাপুজোর জন্য বিশাল সংখ্যায় মানুষের ভিড় হয় সেখানে ৷ লোকজন কেনাকেটা করতে আসেন ৷ আর এই এলাকায় পুজোর প্রস্তুতির জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় হয় ৷ এমনকি সেখান দিয়ে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ইতিমধ্যে প্রতিমা যাওয়া শুরু হয়েছে ৷ ফলে আপনাদের উল্লেখিত জায়গায় নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে, পুজোর সময়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমস্যা তৈরি হবে ৷ তাই আপনাদের আবেদন মেনে নিলে সাধারণ মানুষের খুবই সমস্যা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত গুরুতর সমস্যা দেখা দেবে ৷"
ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের ৷ (নিজস্ব চিত্র) তবে, জুনিয়র ডাক্তারকে পুলিশের মারধরের ঘটনায় যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তা পুরোপুরি উপেক্ষা করে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি হেড-কোর্য়াটার ৷ ফলে এবার জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই দেখার ৷ বিশেষত, রাজ্য সরকারকে বেঁধে দেওয়া তাঁদের 24 ঘণ্টা সময় শেষ হতে কয়েকঘণ্টা বাকি ৷ ফলে সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়, নাকি জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা আমরণ অনশনে যান, সেটা সময় বলবে ৷