পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সাইবার প্রতারণায় মৃত্যু তরুণীর, লাদাখ পুলিশের জালে কলকাতার যুবক

Cyber Crime: সাইবার অপরাধের শিকার লাদাখের একটি গ্রামের তরুণী ৷ সেই তরুণী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ৷ এর দেড় মাস পরে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি নদী থেকে ৷ এই ঘটনায় জড়িত কলকাতার যুবক ৷

ETV Bharat
সাইবার জালিয়াতিতে লাদাখ পুলিশের হাতে গ্রেফতার কলকাতার যুবক

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 1, 2024, 1:17 PM IST

কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: প্রতারণার অভিযোগে কলকাতার যুবককে গ্রেফতার করল লাদাখ পুলিশ ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন লাদাখের কার্গিলের এক তরুণী ৷ এরপরেই ওই তরুণীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার রাতে কলকাতা পুলিশের সাহায্যে কলকাতার খিদিরপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল কার্গিল পুলিশ ৷

ধৃতের নাম ফারুক খান ৷ সে মোমিনপুরের বাসিন্দা ৷ যদিও এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "লাদাখ পুলিশ আমাদের জানিয়েছিল ৷ আমরা তাদের সাহায্য করেছি মাত্র ৷ এটা সম্পূর্ণ বাইরের একটি ঘটনা ৷" জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে একাধিকবার টাকার লেনদেন হয়েছিল লাদাখের তরুণীর ৷ ঠিক কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কার্গিলের জান্সকার এলাকায় একটি নদী থেকে ওই তরুণীর (18) দেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই তরুণী গত 26 নভেম্বর উফতি গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ৷ 29 নভেম্বর তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করে ৷ পরে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পদুমের কাছে লুংনাক নদী থেকে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় প্রথমে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷

পরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তরুণীর মৃত্যুতে যুক্ত আরেক যুবক কলকাতার খিদিরপুরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৷ সেই মতো কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাদাখ পুলিশ ৷ এরপর বুধবার এই শহর থেকে দ্বিতীয় জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ওই মেয়েটি সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন ৷ তাঁর 57 হাজার 838 টাকা ফারুখ খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল ৷ সেই টাকা দক্ষিণ 24 পরগনার আমতলা শাখায় জমা পড়েছিল ৷

সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বলেন, "লাদাখ পুলিশ 10 দিনের ট্রানজিট রিমান্ড চেয়েছিল ৷ কীভাবে তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের একাধিক লেনদেন হয়েছিল, তা জানতে আরও তদন্তের প্রয়োজন ৷ বিচারক লাদাখ পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন ৷" তদন্তকারী আধিকারিক কলকাতা পুলিশকে জানায়, তরুণীর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বর, কেওয়াইসি তথ্য, প্যান কার্ডের তথ্য এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টগুলিও পাওয়া গিয়েছে ৷ এগুলিই অভিযুক্ত ফারুকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রমাণ ৷

আরও পড়ুন:

  1. সাইবার অপরাধে মানব পাচার; তদন্তে ইন্টারপোল, সতর্ক লালবাজারও
  2. সাইবার প্রতারণায় পাঁচ পদ্ধতিতে বছরে 708 কোটি লুঠ!
  3. ফেসবুকের অ্যাপসে ছবি আপলোড করলেই হয়ে যাচ্ছেন বিদেশি, কমে যাচ্ছে বয়সও; সাবধান হওয়ার বার্তা পুলিশের

ABOUT THE AUTHOR

...view details