কলকাতা, 18 জুন:দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া অবশিষ্ট বগিগুলি নিয়ে ভোররাতে শিয়ালদা স্টেশনে ঢুকল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস । একে একে ব্যাগপত্র নিয়ে কামড়া ছেড়ে নামলেন যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে হাতে জলের বোতল ও খাবারের প্যাকেট তুলে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বাসে ও গাড়িতে করে তাদের পাঠানো হল নিজ নিজ গন্তব্যে ।
শিয়ালদা ফিরল অক্ষত কাঞ্চনজঙ্ঘা (ইটিভি ভারত) দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "ভারতীয় রেলের কী হবে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। আমরা প্রাণ হাতে নিয়েই রেলে চড়ব। আমি বন্দে ভারতে যাতায়াত করি। মালদা যাই, বোলপুরে যাই এখন মনে হচ্ছে রেলে যাতায়াত করলে জীবন বিমার অঙ্ক বাড়িয়ে দিয়ে যেতে হবে। ফিরব কি না, কোনও ঠিক নেই।"
সেমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে এগোতেই রাঙাপানি এলাকায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে আগরতলা-শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। একই লাইনে চলে আসায় দ্রুতগতিতে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। দুমড়ে মুচড়ে যায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 10 জনের ৷ রেলের তরফে জানানো হয়েছে আহতের সংখ্যা 44 জন ৷ প্রায় 12 ঘণ্টা উদ্ধারকাজের পর ওই লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। অক্ষত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রী নিয়ে শিয়ালদা এসে পৌঁছয় মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ট্রেনের যাত্রীদের সরকারি বাস ও গাড়িতে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । সব ঘটনার দায়িত্বে ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । প্রত্যেকে যাত্রীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা করান। তাদের সঙ্গে দুই মন্ত্রী কথা বলেন।
এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কেউ শিলচর, কেউ ত্রিপুরা থেকে আসছেন। হঠাৎ করে মৃত্যুফাঁদ তার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অনেকের সামান্য আঘাত আছে ৷ তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে । আমাদের যেটুকু করার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা করছি। আপাতত 150-200 জনের বেশি যাত্রীকে বাসে করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে । বাকিদের গাড়ির ব্যবস্থা করেছি।"