কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: সংশোধনাগার থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে কিছুদিনের জন্য পেয়েছিল মুক্তি ৷ চরিত্রের সংশোধন হয়নি ৷ উলটে নির্দিষ্ট দিনে সংশোধনাগারে আত্মসমর্পণ না-করে, সাজাপ্রাপ্ত সেই আসামির বিরুদ্ধে উঠল নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ৷ বন্দি আসামির নাম বিপুল শিকারি ওরফে মাস্টার ৷ তার খোঁজে যৌথভাবে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা ও মুম্বই পুলিশ ৷
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "চলতি মাসেই মুম্বই পুলিশ লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে মুম্বই পুলিশের দু'জন আধিকারিক কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে এসে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গেও দেখা করেন। কলকাতা পুলিশকে জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের 29 তারিখ মুম্বইয়ের ওয়াডালা থানা এলাকায় এক 12 বছরের শিশুকন্যার অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।"
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার তদন্তে মূল অভিযুক্ত হিসেবে বিপুল শিকারির নাম উঠে এসেছে ৷ যার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল কলকাতার বটতলা থানায় একটি খুনের ঘটনায়। সেই ঘটনার তদন্ত এবং কেস হিস্ট্রি বার করে পুলিশ বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে যে বিপুল শিকারি নামে ওই বন্দি করোনাআবহে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল ৷ কিন্তু পরে সে আত্মসমর্পণ করেনি ৷ বরং মুম্বই গিয়ে সে নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি (কারা) লক্ষ্ণীনারায়ণ মীনা ইটিভি ভারত-কে বলেন, "সেই সময় কারা দায়িত্বে ছিলেন সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি কেন পুলিশকে জানানো হলো না সেই বিষয়টিও যাচাই করা প্রয়োজন । সব বিষয়গুলি আমি খতিয়ে দেখে তারপরেই এই বিষয়ে পাকাপাকিভাবে বলতে পারব।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, "2012 সালে উত্তর কলকাতার সোনাগাছি এলাকায় একটি খুন হয় ৷ সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিপুল শিকারির বিরুদ্ধে ৷ এরপর তাকে গ্রেফতার করে বটতলা থানার পুলিশ। 2016 সালে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়।" ইতিমধ্যেই কারা দফতরের সঙ্গে লালবাজার যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে, করোনাআবহে বিপুল শিকারি বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিল। সেখান থেকেই সে প্যারোলে মুক্ত হয়েছিল। পরে সে আর আত্মসমর্পণ করেনি।