আসানসোল, 25 অক্টোবর: দানার প্রকোপ সেভাবে না-পড়লেও, টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ ৷ বাদ যায়নি আসানসোল শিল্পাঞ্চলও ৷ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত মৃৎ শিল্পীদের ৷ সামনেই কালীপুজো ৷ আর আসানসোলের কুমোরটুলি মহিশীলা পাল পাড়ার প্রতিমাগুলি প্লাস্টিকে মুখ ঢেকেছে ৷
কুমোরপাড়ায় তৈরি হওয়া বড় প্রতিমাগুলিকে বাইরে রেখেই তৈরি করতে হয় ৷ ফলে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে সেগুলিকে ৷ রোদ না-থাকায় কীভাবে সময়ে মূর্তি গড়া ও তা পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন শিল্পীরা, সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷
দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ মৃৎশিল্পের কারখানা রয়েছে আসানসোলের মহিশীলাতে ৷ কলকাতার কুমোরটুলির পাশাপাশি আসানসোলের মহিশীলা পালপাড়া একইভাবে দক্ষিণবঙ্গে সমাদৃত হয় ৷ আসানসোল থেকেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূম-সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অংশে প্রতিমা যায় ৷ দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোতেও কয়েক হাজার কালী প্রতিমার কাজ চলছে এখানে ৷ কিন্তু, বাধ সেজেছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ কারখানার ভিতরে বড় ঠাকুর তৈরি করা যায় না। ফলে কারখানার বাইরে রাস্তার পাশে প্রতিমাগুলি নির্মাণ করেন মৃৎশিল্পীরা ৷ কিন্তু, দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা ৷ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে কালী মূর্তি ৷
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকেই কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে শিল্পীদের ৷ যদি, বৃষ্টি না-থামে তাহলে প্রতিমার বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কায় রয়েছেন শিল্পীরা ৷ মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, মাটির কাজই এখনও শেষ হয়নি ৷ সেই মাটির কাজ শেষ হলে রঙ করা হবে, তারপর মূর্তির গায়ে চাপানো হবে সোলার ডাক ৷ যদি, মাটির কাজই শেষ না হয় বৃষ্টির কারণে, তাহলে প্রতিমা সঠিক সময়ে শুকোবে না ৷