কলকাতা, 1 অক্টোবর: কর্মবিরতিতে থাকার সময়ও দোষ জুনিয়র চিকিৎসকদের, কাজ করলেও দোষ জুনিয়রদের । তাহলে আমরা কী করব ? এই প্রশ্ন তুলেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে বসলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । 42 দিন পর তাঁদের যে কর্মবিরতি আংশিক উঠেছিল, সেই কর্মবিরতি আবারও শুরু হল 1 অক্টোবর থেকে । যতদিন না নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হচ্ছে, ততদিন তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন । যদিও পুজোর সময় তাঁদের আন্দোলনের গতিবিধি ঠিক কী হবে, তা এখনও আলোচনা সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা । দীর্ঘ আলোচনার পরই ফের পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । তাঁদের তরফে আজ সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ জানান, "আমরা কাজ করলেও দোষ, আবার না-করলেও । তাহলে কী করব এখন আমরা ? এটা একটা মেডিক্যাল কলেজ, আর সেখানে রোগীর পরিবার একতলা থেকে 20 জন মিলে চার তলায় চলে গেলন । সব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তার গাফিলতি । তাহলে এই দায়টা কার ? এমনকি সেখানে তো রোগীদের নিরাপত্তার প্রশ্নও থাকে।"
জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠক (নিজস্ব ভিডিয়ো) প্রসঙ্গত, আরজি করের মৃত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বহু জুনিয়র চিকিৎসকের স্বাক্ষর । সেই কাগজ তৃণমূলের তরফ থেকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে । যদিও ওই কাগজের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত । তবে সেই কাগজে সই করার কথা মেনে নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ।
জুনিয়ক চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "আমরাই পাঠিয়েছিলাম । কারণ রাজ্য প্রশাসন আত্মহত্যা বলে যে কথা চালাতে চাইছিল সেখানে স্বচ্ছতা আনার প্রয়োজন ছিল । ওই দিন ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সে কারণে আমরা মনে করেছিলাম, যদি স্বচ্ছ ময়নাতদন্ত হত, তাহলে আজ যে ধর্ষণ ও খুনের প্রসঙ্গ উঠে আসছে তা আসত না । সাক্ষী হিসেবে আমাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন ।"
এর সঙ্গে তিনি আরওও বলেন, "আমাদের যাঁরা প্রতিনিধি ছিলেন, তাঁরা কেউ ফরেনসিক এক্সপার্ট নয় । সেই কারণেই আমরা দাবি করেছিলাম ময়নাতদন্তের রিপোর্টটা আমাদের দেখাতে । কিন্তু তা দেখানো হয়নি । কারণ ততদিনে কেস সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে । এটাতে যদি কেউ রাজনীতি বা অন্য কোনও প্রসঙ্গ দেখে, তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের এখানে কিছু বলার নেই ।"