ঝাড়গ্রাম, 12 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন সর্বস্তরের মানুষ। সংগঠিত হচ্ছে প্রতিবাদ মিছিল। চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যারা দোষী তাদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত রয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আন্দোলন থেকেও মাঝেমধ্যে উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান। আর এর মধ্যেই জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাওয়া জুনিয়র চিকিৎসক এবং তাঁর পরিবারকে অতি তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচাল পুলিশ।
পুলিশি তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল জুনিয়ার ডাক্তার-সহ পরিবারের (ইটিভি ভারত) বুধবার সন্ধ্যাবেলায় ঝাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ফাঁসিতলায় কলকাতা-মুম্বই 6 নম্বর জাতীয় সড়কে নেতুরা টোল প্লাজার কাছে একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। দু'টি যাত্রীবাহী মারুতি গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি দূরপাল্লার পণ্যবাহী লরি। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় মারুতি দু'টি। একটি গাড়িতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক সৃষ্টি একতা ও তাঁর বাবা-সহ মোট চারজন ছিলেন। অপর একটি গাড়িতে আরও দু'জন ছিলেন।
বুধবার সন্ধ্যার পথ দুর্ঘটনা (ইটিভি ভারত) দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না-করে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার, মানিকপাড়া বিড হাউসের ওসি সুজন হেমব্রম-সহ ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। নিয়ে আসা হয় গ্যাস কাটার, বিডি ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স। দুমড়ে-মুছতে যাওয়া গাড়ি থেকে দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশই নিয়ে আসে ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয় ৷ প্রাণ বেঁচে যান সকলেই।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, "সৃষ্টি একতা নামের জুনিয়র ডাক্তার-সহ মোট 6 জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্তমানে ওই জুনিয়র ডাক্তার-সহ পাঁচজনকে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং অনুপ বেরা নামের একজনকে কলকাতার এসএসকেএম রেফার করা হয়েছে।
পথ দুর্ঘটনা কবলে পড়া জুনিয়ার ডাক্তার (ইটিভি ভারত) ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, "গতকাল সন্ধ্যা 7টা 15 মিনিট নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে দুর্ঘটনার। দু'টি মারুতি গাড়িকে পিছন থেকে একটি পণ্যবাহী লরি ধাক্কা মারে। দুমড়ে-মুছড়ে যাওয়া গাড়িগুলিকে গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ভিতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পুলিশের কাজ মানুষের জীবনরক্ষা করা ৷ আমরা তাঁদেরকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পেরেছি।"
- ট্রাকের ধাক্কায় স্কুটি চালকের মৃত্যু, ক্ষিপ্ত জনতার মারে হাসপাতালে ভর্তি থানার আইসি