কলকাতা, 3 অগস্ট:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে যোগ হল ওয়ার্ডেন পদ। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ব়্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা লক্ষ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৷ নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে থেকেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি হস্টেলে থাকছে ত্রিস্তরীও নজরদারি। ইউজিসির নিয়ম মেনে এবার শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে ওয়ার্ডেন হিসাবে। সুপারের পর হোস্টেলে ছাত্রদের যাবতীয় সমস্যার কথা শুনবেন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলে শুরু হল ত্রিস্তরীও নজরদারি (ইটিভি ভারত) এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ডেন পদ ছিল না । প্রায় 20 বছর আগে সুপার নিয়োগ হত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে। পরবতীকালে হোস্টেলের সুপার নিয়োগ হত অশিক্ষক কর্মীদের থেকে। কিন্তু তাতে বদল হয়। ইতিমধ্যেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হোটেলের জন্য একজন শিক্ষক ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে 12টি হোস্টেল। সেই প্রত্যেকটি হোস্টেলেই থাকবেন ওয়ার্ডেন । 8 জনকে এই পদের জন্য বেছে নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে 5 জন ছাত্রদের জন্য তিনজন ছাত্রীদের জন্য থাকবেন । তবে শুধু ওয়ার্ডেন নয়, এর উপরে থাকবে অফিসার ইনচার্জ । ক্যাম্পাসের মধ্যেও যাতে কোনও পড়ুয়াকে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখবেন।
গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। যার নেপথ্যে কারণ ছিল র্যাগিং। তারপরেই এই বছর স্নাতকের প্রথম বর্ষের জন্য 2টি ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের জন্য 1টি আলাদা হোস্টেল ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকী এই মোট 3টি হোস্টেল থাকবে ক্যাম্পাসের ভিতরে । তবে হোস্টেলের পাশাপাশি নজরদারি চলবে ক্যাম্পাসেও । অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটি এবং অ্যান্টি-র্যাগিং স্কোয়াডের পর এবার তৈরি করা হল অ্যান্টি-র্যাগিং মনিটরিং দল।
ছাত্রদের ভর্তির পর বেশকিছু মাস দিনভর অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি স্কোয়ার্ডের ক্যাম্পাস ও হস্টেলে নজরদারি করবে। আর তাঁদের উপরে থেকে পুর বিষয়টায় নজর রাখবে এই মনিটরিং দল। তবে এসবের পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের বেশ কিছু জায়গায় বসতে চলেছে সিসিটিভি। এই নতুন ব্যাবস্থা প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত জানান, "একটা প্রাণ চলে গেছে। তার জন্য আমাদের দুঃখ রয়েছে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর র্যাগিং, এই দু’টো শব্দ সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। আমরা আবারও সেই র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস করে তুলব । তার জন্য নতুন কিছু পদক্ষেপ নিলাম ।’’