ইসলামপুর, 10 অগস্ট: গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বচসা বাধল পুলিশ ও তৃণমূল নেতার মধ্যে ৷ সেই বচসা হাতাহাতিতে গড়াল ৷ পুলিশ কর্মীর অভিযোগ তৃণমূল নেতা গাড়িটি ভুল দিকে রেখেছিলেন ৷ অন্যদিকে নেতার পালটা অভিযোগ, পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি তৃণমূল যুব নেতাকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ ৷ তবে নেতার দাবি, পুলিশ যে মদ্যপ অবস্থাতে ছিলেন, তা স্বীকার করেছেন থানার ওসি ৷
নেশাগ্রস্ত পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূলের যুব জেলা সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ (ইটিভি ভারত) ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত 11.40 নাগাদ ৷ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আসিফ আহম্মেদ ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ফলের দোকানে বাজার করছিলেন ৷ অভিযোগ, সেই সময় ফলের দোকানের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে এক পুলিশকর্মীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে ৷ তিনি যুব নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করেন বলে অভিযোগ ।
আসিফ আহম্মেদের দাবি
আসিফ আহম্মেদের কথায়, "ফলের দোকানের সামনে রাস্তা অনেকটা ছেড়েই গাড়িটা দাঁড়িয়েছিল ৷ ইসলামপুর থানার আধিকারিক বিপ্লব মণ্ডল এসে বললেন, গাড়িটা আরও সাইড করে রাখতে ৷ আমি বললাম, ড্রাইভার ফল নিতে গিয়েছেন ৷ 1-2 মিনিট পর গাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি ৷ তিনি কোনও কথা শুনতে চাননি ৷ আমি গাড়ি চালাতে জানি না যে, এখনই গাড়ি সরাব ৷"
বচসার মাঝেই পুলিশ কর্মী এমনভাবে তাঁর গাড়ির গেট খোলেন যে তাতে তৃণমূল যুব নেতা আসিফের গাড়িতে স্ক্র্যাচ পড়ে, অভিযোগ নেতার ৷ তিনি বলেন, "এরপর আমি গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এমন ব্যবহার কেন করছেন ? আমার কলার ধরে ধাক্কা দেন ৷ আমার সঙ্গে পুলিশ কর্মীর ধস্তাধস্তি হয় ৷"
খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা দ্রুত ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত করেন ৷ আসিফ আহম্মেদ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ৷ তৃণমূল নেতা বলেন, "আমি আমার পরিচয় কেন দেব ? সাধারণ মানুষ হলে, তাঁর সঙ্গেও আপনি মদ্যপ অবস্থায় এরকম ব্যবহার কেন করবেন ? তিনি আরও একবার জনসমক্ষে আমার গায়ে হাত তোলেন ৷ পরে আমি ইসলামপুর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলি ৷ পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলি ৷ ওসি এখানে এসেছিলেন ৷ বড়বাবু স্বীকার করেছেন যে, ওই পুলিশ কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে ৷"
এই ঘটনায় ইসলামপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসীরা ৷ এর আগেও ইসলামপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি, এমনকী জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছেল ৷