কলকাতা, 4 মার্চ: আরও একবার সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা করার পরও শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল করে দিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবারও উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আনার জন্য আলিপুরদুয়ার এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতীয় রেল বাতিল করেছে বলে জানানো হয়েছে ৷ এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতার ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি লেখেন, "ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক যদি এই ট্রেনটি চাইতেন, তাহলে কি আপনি (রেলমন্ত্রী) একই উত্তর দিতেন? সেখানেও কি আপনি বলতেন, ট্রেন দিলে অন্য পরিষেবা ব্যাহত হবে ? সেখানেও কি এই অপারেশনাল ইস্যুর প্রসঙ্গটি আসত? কিন্তু মনে রাখবেন, এভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না।"
উল্লেখ্য 10 মার্চ ব্রিগেডের সভার জন্য উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েকে প্রয়োজনীয় ডিপোজিট জমাও করে দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু সমাবেশের 6 দিন আগে তা বাতিল করে দিল রেল। আর এই ঘটনায় দিল্লি চলোর সময় যে রেলের তরফে ভূমিকা পালন করা হয়েছিল সেই একই ছায়া দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, 30 সেপ্টেম্বরও তৃণমূলের আবেদনে সাড়া দেয়নি রেল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রার জন্য পাওয়া যায়নি স্পেশাল ট্রেন।
সেদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেন পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল ভারতীয় রেল ৷ তারপরই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে শাসকদল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছে তৃণমূল। একশো দিন, আবাস যোজনার টাকার দাবিতে জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লি যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ছিল বিক্ষোভ কর্মসূচিও। দিল্লিতে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের যোগ দেওয়ার জন্য যে বিশেষ ট্রেনের আবেদন করা হয়েছিল, তা বাতিল করে দেয় ভারতীয় রেল ৷ ট্রেন না থাকায় বাসে করে কর্মী-সমর্থকদের দিল্লি নিয়ে যায় তৃণমূল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আরও একবার ৷