পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর - LIFE IMPRISONMENT

12 বছর পর বিচার পেলেন গৃহবধূ ৷ তাঁকে পুড়িয়ে খুন করে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় ৷

Life Imprisonment
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা স্বামীর (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 24, 2024, 6:41 PM IST

মালদা, 24 ডিসেম্বর: পণের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। 12 বছর পর অবশেষে বিচার পেলেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা জেলা আদালত।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার আলিপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বনেশ্বরটোলার বাসিন্দা রাজীব রজকের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। অত্যাচার না-চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের তাঁকে বাপেরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় রাজীব। তিনদিন পর তরুণীর মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকজন। জানা যায় আগুনে পুড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর (ইটিভি ভারত)

এই ঘটনায় তরুণীর বাবা, তাঁর জামাই-সহ মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুণ্ডু জানান, 2012 সালের 27 ডিসেম্বর কালিয়াচক থানায় মেয়েকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাবা। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত মেয়ের স্বামী-সহ পরিবারের লোকজন।

এই অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে মেয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। 2012 সালের 23 ডিসেম্বর বাড়ি গিয়ে অত্যাচার না-করার কথা বলে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় রাজীবরা। 26 ডিসেম্বর রাতে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে তরুণীর পরিবার জানতে পারে তিনি আগুনে পুড়ে গিয়েছেন। পরদিন তাঁরা মালদা মেডিক্যালে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারেন, দরজা বন্ধ করে কেরোসিন তেল ঢেলে মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এরপর 27 ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সেদিনই মেয়ের স্বামী রাজীব রজক, শ্বশুর দিলীপ রজক ও শাশুড়ি রানি রজকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। 2013 সালের 25 অক্টোবর পুলিশ এই ঘটনার চার্জশিট পেশ করে। 12 জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে এডিজে তৃতীয় কোর্টের বিচারক সঙ্ঘমিত্রা পোদ্দার, স্বামী রাজীব রজককে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ, মঙ্গলবার দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ABOUT THE AUTHOR

...view details