কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহানের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পায়নি রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ। বর্তমানে সে কোথায় রয়েছে তাও কারও জানা নেই। অথচ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিস থেকে শুরু করে আদালতে দিব্যি নিজের আইনজীবীদের পাঠিয়ে আগাম জামিনের ব্যবস্থা করছে শেখ শাহজাহান। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা খোঁজ নিতে শুরু করলেন শেখ শাহজাহানের ৷ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
ইডি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শাহজাহানের কোন ব্যাঙ্কের কোন ব্রাঞ্চে কতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের নোডাল অফিসারকে চিঠি দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের গত 10 বছরের তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান আয়কর রিটার্ন জমা দিতেন কি না, সেই তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা চলছে।
ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি পেলে শাহজাহানের আয় ও সম্পত্তির হিসেব মিলিয়ে দেখবে ইডি। শুধু শাহজাহান নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিতেও নজর রয়েছে ইডি'র। ইতিমধ্যেই তাদের নামের একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত 5 জানুয়ারির সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা হাজির হন উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। বারংবার ডাকাডাকি করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। তার ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তালাও ভাঙেন ৷ আর তারপরেই তাদের উপর আক্রমণ নেমে আসে। এই বিষয়ে অবশ্য ইডির তরফ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজিব কুমার এবং তৎকালীন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে একটি চিঠি লেখা হয়।
স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একদল মানুষ তাদের উপর আক্রমণ করেছে। তারা প্রত্যেকে শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে দাবি করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সব ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের নাগাল পর্যন্ত পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দা থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের তাবড় গোয়েন্দা। আর এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা এবার শেখ শাহজাহানের কত বিষয় সম্পত্তি রয়েছে তার উপর বিশেষ খেয়াল রাখতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।