পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার ! গ্রেফতার চক্রের 3 জন

সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার চক্র ! হুগলি পুলিশের জালে নারী পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ 3 সদস্য ৷

WOMEN TRAFFICKING RACKET
হুগলি পুলিশের জালে নারী পাচার চক্রের 3 সদস্য (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

সিঙ্গুর, 28 অক্টোবর: সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার ! এবার তারই কিনারা করল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। পুলিশের দাবি, নারী পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা নন্দকিশোর কুমার ৷ তার এজেন্ট হিসাবে কাজ করত মিজানুর মণ্ডল ও শ্রীরাম রায় ৷ সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত 13 জুলাই তারকেশ্বর থানায় নাবালিকা অপহরণ মামলায় মোট এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাদের চন্দননগর আদালতে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও কোনও এজেন্ট আছে কি না, তার খোঁজ চালাবে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।

রবিবার হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, তারকেশ্বর থানার পুলিশ নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ তারকেশ্বরে 13 জুলাই একটি নাবালিকা নিখোঁজের মামলা হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে 19 তারিখ বিহারের মোতিহারি জেলার চম্পারন পূর্ব থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। তার জবানবন্দী অনুযায়ী রাহুল বলে একজনের নাম জানতে পারে পুলিশ ৷

এই অপহরণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু তথ্য পায় পুলিশ। পুলিশ সুপারের কথায়, "আমরা বুঝতে পারি এই চক্রটা পুরোপুরি নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এরা মূলত মহিলাদের বিভিন্ন রকম প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্কেস্ট্রা এবং যৌন কাজের জন্য ব্যবহার করে। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর নিয়ে এই তদন্ত আমরা চালিয়ে যাই। নাবালিকার অভিযোগ অনুযায়ী রাহুল বলে একটি যুবকের খোঁজ পাই। পরে 25 অক্টোবর রাহুল ওরফে মিজানুর মণ্ডল ও আরও একজন ব্যক্তি শ্রীরাম রায়কে গ্রেফতার করা হয়।"

পুলিশ সূত্রে খবর, মিজানুরের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর ও শ্রীরামের বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগণার তারাতলায়। এরা দুজনেই নেপালে থাকত বলে জানা গিয়েছে। এদের মতোই আরও এজেন্ট ছড়িয়ে আছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। সেই সূত্র ধরেই কৃষ্ণনগর থেকে নন্দকিশোর কুমার নামে আরও একজনকে 26 অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাড়ি বিহারের চম্পারনে। পুলিশের দাবি এই নন্দকিশোরই চক্রের মূল পাণ্ডা। মহিলাদের এই এজেন্টরাই ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচার করত বলে অনুমান পুলিশের।

ABOUT THE AUTHOR

...view details