মালদা, 4 জুলাই: হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর বন্ড নিয়ে জালয়াতি চক্র মালদায় ৷ ইতিমধ্যে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷ শুধু মালদাতেই, নাকি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এমন চক্র ছড়িয়ে পড়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ এমন ঘটনায় মালদা জেলায় প্রথমবার ঘটল বলে জানাচ্ছেন আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা ৷
মালদা জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু উৎপন্ন হয় পুরাতন মালদা ব্লকে ৷ এই ব্লকে হিমঘরের সংখ্যাও বেশি ৷ গত রবিবার সেখানকার একাধিক হিমঘরে আলুর জাল বন্ডের হদিশ মিলেছে ৷ সেখানকার একটি হিমঘরের ম্যানেজার দীপক রাজবংশী বলেন, "একটি ছেলে আমাদের হিমঘরে আসে ৷ সে দুটি আলুর বন্ড সঙ্গে নিয়ে এসেছিল ৷ দুটি বন্ডে 200টি আলুর প্যাকেট হিমঘর থেকে বের করার জন্য এখানে এসেছিল ৷ আমরা বন্ড দুটি মেশিনে পরীক্ষা করি ৷ কারণ, প্রতিটি বন্ডে আমাদের বারকোড রয়েছে ৷ পরীক্ষায় দেখা যায়, দুটি বন্ডই জাল ৷ ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, স্থানীয় চেচু মোড়ের উপেন রাজবংশী নামে এক ব্যক্তি তাকে ওই দুটি বন্ড দিয়ে আলুর বস্তা হিমঘর থেকে বের করে নিয়ে যেতে বলেছে ৷ আমি তাকে বলি, তার সঙ্গে থাকা দুটি বন্ডই জাল ৷ সে যেন তার মালিককে বিষয়টি জানায় ৷ আমরাও উপেনবাবুর সঙ্গে কথা বলি ৷ তাঁকে হিমঘরে ডেকে পাঠাই ৷"
তিনি আরও বলেন, "ভিলেজ পুলিশকেও গোটা বিষয়টি জানাই ৷ উপেনবাবু আরও একটি বন্ড নিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ৷ পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেটিও জাল ৷ তিনি নাকি কারও কাছে তিনটি বন্ডে 300 প্যাকেট আলু কিনেছেন বলে জানান ৷ আমরা মালদা থানায় খবর দিই ৷ পুলিশ তাঁদের দু'জনকেই থানায় নিয়ে গিয়েছে ৷ সাধারণ মানুষ এই জাল বন্ড চিনতে পারবেন না ৷ এক দেখায় হুবহু আসল বন্ডের মতোই দেখতে ৷ তাতে সিল-সই, সবই রয়েছে ৷ তবে জাল বন্ডের বারকোড আলাদা ৷ পরে জানতে পারি, গাজোলের রাজাদিঘি এলাকায় সঞ্জয় ভগত নামে একজন এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ৷"