আসানসোল, 1 ফ্রেবুয়ারি: ঠিক যেন পুস্পা ছবির রিমেক! বলি-থ্রিলারকে হারিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল আসানসোলে। পিক-আপ ভ্যানে টমেটোর আড়ালে পাচার হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। ওড়িশা থেকে এরাজ্যে পাচার হওয়ার সময় 230 কিলো গাঁজা উদ্ধার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও কুলটি থানার পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চালিয়ে ওই পিক-আপ ভ্যান ও আরেকটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আনুমানিক মূল্য 23 লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় 5 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টমেটোর আড়ালে চলছিল পাচার (ইটিভি ভারত) জানা গিয়েছে, শুক্রবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গোপন সূত্রে খবর পায়, ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা পুরুলিয়া হয়ে এই জেলায় ঢুকতে পারে। সেই মতো কুলটি থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলার সীমায় ডিসেরগড় সেতুতে নাকা চেকিংও বাড়ানো হয়।
উদ্ধার 230 কেজি গাঁজা (ইটিভি ভারত) আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (ওয়েস্ট) সন্দীপ কক্কর জানান, খবর ছিল গাঁজা পাচার হবে। সেই মতো নাকা চেকিং চলছিল। ডিসেরগড় সেতুতে পরপর একটি সুইফট ও একটি পিকআপ ভ্যান দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়ি দু'টি দাঁড় করাতেই একটি গাড়ি থেকে চালক নেমে পালায়। তখনই গাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। ম্যাটাডোর ভ্যানে টমেটোর আড়ালে পাচার হচ্ছিল গাঁজা। অন্যদিকে, সুইফট গাড়ির ডিকিতেও প্রচুর পরিমাণে গাঁজা ছিল। দু'টি গাড়ি মিলিয়ে 230 কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য 23 লক্ষ টাকা। ঘটনায় 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে 3 জনের বাড়ি আসানসোল উত্তর থানায় রেলপাড়ে। বাকি দু'জন আসানসোল উত্তর থানার চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা।
আনুমানিক মূল্য 23 লক্ষ টাকা (ইটিভি ভারত) এই প্রথম নয় এর আগেও 19 নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে ওড়িশা থেকে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল এখানে। এবার রাস্তা বদলে পুরুলিয়া রোড ব্যবহার করছিল পাচারকারীরা। এখান থেকই তদন্তকারীরা মনে করছেন এই এলাকায় মাদক পাচারকারীদের দাপট ক্রমশ বাড়ছে।যদিও পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সচেষ্ট। আর তাই পাচারকারীরা বারবার ধরা পড়ছে।