দক্ষিণ 24 পরগনা, 16 জুলাই: আজ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে জুনপুটের সমুদ্র উপকূল এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে ডিআরডিও ৷ যার জন্য আজ থেকে আগামী 6 দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ রাজ্যের মৎস্য দফতরের তরফে নিরাপত্তার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
ডিআরডিও-র ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা ৷ (নিজস্ব চিত্র) আজ ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও-র ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ৷ সেখানে নৌবাহিনীর গবেষকরাও উপস্থিত রয়েছেন ৷ মঙ্গলবার সকালে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে ৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, সেটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে ৷
এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয় ৷ সেই কারণে, মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর ৷ তবে, মাছ ধরার ভরা মরশুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীদের সংগঠনগুলি ৷ তারা এ নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ৷ উল্লেখ্য, জুনপুটে সমুদ্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিলগুলিতেও মৎস্যজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৷ যা নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ রয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে ৷
মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি বঙ্গোপসাগরের আকাশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সমর্থ হয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর। মঙ্গলবার থেকে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য মৎস্য দপ্তর কার্যত মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা 6 দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য মৎস্য দপ্তর তার কারণ হিসেবে ডিআরডিও তরফ থেকে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র বঙ্গোপসাগরের উপকূল তটে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভরা মরশুমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা হওয়ার কারণে কার্যত ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা ৷
ডিআরডিও-র এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা মোট দু’দফায় চলবে ৷ প্রথম দফায় 16-19 জুলাই ও দ্বিতীয় দফায় 24-26 জুলাই এই মহড়ার চলবে ৷ উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 15 জুন থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠে ৷ এরপরই মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় ৷ এর মধ্যে কিছুদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকায় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেননি ৷ ফলে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের ৷ দুর্যোগ কমে বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ ফলে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে যেতেও শুরু করেছে ৷ কিন্তু, হঠাৎই এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সমস্যায় পড়েছে মৎস্যজীবীরা ৷
এই বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, "মাছের মরশুম সবে শুরু হয়েছে ৷ তেমন একটা ভালো মাছ হয়নি, বা মৎস্যজীবীরা মৎস্য শিকার করতে পারেনি ৷ তার মধ্যেই আবার এই ছয়দিনের যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এতে মৎস্যজীবীদের খুব সমস্যায় পড়তে হবে ৷" তিনি আরও জানান, যদি প্রশাসন আগে থেকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানাত, তা হলে তাদের সুবিধা হত ৷