কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: ফের হাইকোর্টের ভর্ৎসনায় মুখে পড়লেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে আর্থিক দূর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতকে সাতদিনের মধ্যে ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্টে ফের আবেদন করেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ৷ সেই আবদনের জেরে মুখ পুড়লো সন্দীপ ঘোষের।
এদিন ফের ট্রায়ালের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করতে গিয়ে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী দাবি করেন, প্রায় 15 হাজার পাতার নথি সিবিআই দিয়েছে, যার সব এখনও খতিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। তাই আগের দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছে। এতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিরক্ত হয়ে মন্তব্য করেন, "এই নিয়ে দু'বার একই আবেদন করলেন। আমি খুব জেনে বুঝে ওই নির্দেশ দিয়েছি। ওই নির্দেশ কোনও পরিবর্তন হবে না। বরং, নিম্ন আদালতে গিয়ে বিচারে সহযোগিতা করুন।"
এর আগে গত সপ্তাহেও সন্দীপ ঘোষের তরফে তাঁর আইনজীবী একই আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ নিম্ন আদালত যাতে বিচারপর্ব তড়িঘড়ি শুরু না করে, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আইনজীবী। কিন্তু, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। উল্লেখ্য, আরজি করে আর্থিক দূর্নীতির মাললায় সন্দীপের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করে বিচারপর্ব শুরু করতে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। তারপরই বিচারপতি ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত বিচার শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের তদন্তের ত্রুটির অভিযোগে নতুন করে তদন্তের দাবিতে দায়ের করা মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য, "হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ নতুন মামলা শুনতে পারে কি না তার ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু, শীর্ষ আদালত এখনও তার শুনানি করেনি। তাই এই আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিক সিঙ্গেল বেঞ্চ।"
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে ফয়সলা হলে এখানে বিষয়টি জানিয়ে মামলা শুনানির জন্য। প্রসঙ্গত, এর আগে এই আদালতই বলেছিল, নতুন দায়ের করা আবেদন সিঙ্গেল বেঞ্চে শুনতে পারে কি না, তাই নিয়ে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ব্যাখ্যা নিয়ে আসতে।