হাওড়া, 13 অক্টোবর: একাদশীর দুপুরে হাওড়ায় প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দমকলের আটটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে হাওড়ার উত্তর উনসানি এলাকার একটি প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় অবশ্য কারখানা বন্ধ থাকার দরুণ বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাওড়ায় প্লাস্টিক কারখানায় আগুন (ইটিভি ভারত) যদিও ঘটনায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করছেন স্থানীয়রা। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই কারখানার ভিতরে প্রচুর প্লাস্টিকের সামগ্রী মজুত থাকায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা কারখানা। চারিদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পরে আরও দমকলের ইঞ্জিন আনা হয় ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকল কর্মীরা। স্থানীয়েরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। কী থেকে আগুন লাগল, তাও খতিয়ে দেখছে দমকল আধিকারিকরা ৷ দমকল আধিকারিক রঞ্জন কুমার ঘোড়ুই বলেন, ‘‘দমকলের মোট আটটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা না গেলেও স্থানীয়দের অনুমান, প্লাস্টিকের জিনিস মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়রা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন তাঁরা। পরে খবর দেওয়া হয় দমকলে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদেরও। যদিও দমকলকর্মীদের মতে, ঠিক কী কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই এমন দুর্ঘটনা।