মুর্শিদাবাদ, 3 অগস্ট: রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি ৷ তাতে স্কুল বিল্ডিংয়ের ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ বারান্দা ভরে গিয়েছে জলে ৷ ভগ্নদশা দেওয়ালগুলোর ৷ যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে ৷ পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের পরীক্ষা বন্ধ করে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা ৷ পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাতে বাধ্য হলেন তিনি । এমন ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের পচ্ছিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।
স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থায় বন্ধ পরীক্ষা (ইটিভি ভারত) ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলের কোওনরকম কোন সংস্কার কাজ হয়নি । বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ ৷ যে কোনও সময় পড়ুয়াদের প্রাণহানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে ৷ একাধিকবার সময় স্কুলের এই হালের বিষয়ে উচ্চপদস্থ মহলে জানানো হয়েছে । কিন্তু তারপরেও কোন সুরাহা মিলছে না ৷
প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না চট্টোপাধ্যায় বলেন,"বর্তমানে স্কুলের বিল্ডিংয়ের অবস্থা শোচনীয় ৷ বর্ষা নামতেই তা আরও খারাপ হয়েছে ৷ বর্তমানে স্কুলের বারান্দা আর ছাদ থেকে জল পড়ছে । ক্লাস রুমের ভিতরে ছাদের অবস্থাও ভালো না ৷ যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে ৷ এই আশঙ্কাতেই একাধিকবার দরবারের পর একটি বড় হল ঘর নতুন করে নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে ৷ কিন্তু সেই কাজও মাঝ রাস্তাতেই আটকে গিয়েছে ৷"
প্রধান শিক্ষিকার কথায়, "লোকসভা নির্বাচনের আগে এই হল ঘরটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ৷ 12 লক্ষ টাকা ব্যয় হল ঘরটি নির্মাণের কথা ছিল ৷ কিন্তু কাজ শুরু হলেও ঘরটি ঢালাই হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বড়ঞা ব্লকের বিডিও ঠিকাদারকে বরাদ্দ অর্থ থেকে 2 লক্ষ টাকা কমিয়ে দেন ৷ এই কারণে এই হল ঘরটি অসম্পূর্ণ হয়েই রয়ে গিয়েছে। আর বর্তমানে বর্ষা নামতেই স্কুলে প্রায় ক্লাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনিক আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।"