মালদা, 7 জানুয়ারি: ট্রেনে চেপে কলেজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রী ৷ মাঝরাস্তায় মিলেছে তাঁর ব্যাগ, মোবাইল ফোন, এমনকি সঙ্গে থাকা 1300 টাকাও ৷ কিন্তু সেই ছাত্রীর কোনও খোঁজ নেই ৷ তিনি কোথায় গেলেন, তা চিন্তা করে ঘুম উড়েছে পরিবারের লোকজনের ৷
পরিজনদের আশঙ্কা, ট্রেন থেকেই তাঁকে কেউ বা কারা অপহরণ করেছে ৷ মেয়েকে ফিরে পেতে তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা ৷ খবর পেয়েই ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যেভাবেই হোক, ওই ছাত্রীকে খুঁজে বের করা হবে ৷ সেই আশ্বাস দিয়েছে পুলিশও ৷
নিখোঁজ ওই ছাত্রীর বয়স 20 বছর ৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ৷ বাবা পেশায় ব্যবসায়ী ৷ মেয়েটি ছোট থেকে পড়াশোনায় বেশ ভালো ৷ তাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় ঝাড়খণ্ডের দুমকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৷ গত সপ্তাহে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি ৷ রবিবার সকালে তিনি কলেজে ফেরার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন থেকে ডাউন কুলিক এক্সপ্রেসে চাপেন ৷
রামপুরহাট থেকে দুমকাগামী ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর ৷ ট্রেন মালদা টাউন স্টেশনে ঢোকার আগেও মোবাইল ফোনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই বলে অভিযোগ ৷ বিকেল নাগাদ ফরাক্কার এনটিপিসি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, ওই ছাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল-সহ সমস্ত কিছু নেতাজি সেতুর উপর পাওয়া গিয়েছে ৷ এক ব্যক্তি সেসব পেয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দিয়েছেন ৷ পুলিশ মারফত এই খবর পেতেই মাথায় বাজ পড়ে পরিবারের লোকজনের ৷ তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “রবিবার মেয়ে কুলিক এক্সপ্রেসে রামপুরহাট পর্যন্ত যাচ্ছিল ৷ ওর কাছে রামপুরহাট পর্যন্ত টিকিট ছিল ৷ সেখান থেকে দুমকার ট্রেনে ওর কলেজে ফেরার কথা ছিল ৷ এনটিপিসির নেতাজি সেতুর উপর ওর সমস্ত জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে ৷ এমনকি কলেজ ফেরার সময় ওকে আমি 1300 টাকা দিয়েছিলাম, সেটাও পাওয়া গিয়েছে ৷’’