বর্ধমান, 12 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য তথা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। সেই রেশ ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। তবে এখানে আউটডোর পরিষেবা আংশিক বন্ধ থাকলেও ইমারজেন্সি পরিষেবা চালু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খোলা বর্ধমান মেডিক্যালের জরুরি পরিষেবা (ইটিভি ভারত) মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বেশকিছু জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলন শুরু করলেও তাঁরা ইমারজেন্সি পরিষেবা দিচ্ছেন। ফলে রোগীদের সমস্যায় পড়ার কথা নয়। এছাড়া সিনিয়র চিকিৎসকরাও হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন। সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালের গাইনো বিভাগ ও শিশু বিভাগে বেলা প্রায় 10টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক ছিল না। ফলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন। অন্যদিকে, ইমারজেন্সি গেটের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
তাঁদের দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে ৷ এদিন সকালে হাসপাতালের পরিষেবা খতিয়ে দেখতে আসেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল চিকিৎসক মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইমারজেন্সি বিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগে গিয়ে পরিষেবা ঠিকঠাক চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করলেও এখানে ইমারজেন্সি পরিষেবা চালু রয়েছে। আউটডোরে সিনিয়র চিকিৎসকরা রয়েছেন। তাঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তাদের প্রাথমিক কাজই হচ্ছে রোগীকে পরিষেবা দেওয়া।
উল্লেখ্য, শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে পোশাক ছিল না। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। শনিবার প্রতিবাদ জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে, সোমবার আন্দোলন চললেও খোলা রয়েছে ইমারজেন্সি পরিষেবা, এমনটাই বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
সোমবার সকালের দিকে শিশু ও গাইনো বিভাগে চিকিৎসক না-থাকা প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "জুনিয়র চিকিৎসকরা না-থাকায় অন্যান্য চিকিৎসকদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তাঁদের ইন্ডোর, লেবার রুম, ওটি থেকে একাধিক জায়গায় ভিজিট করতে হচ্ছে। ফলে হয়তো চিকিৎসকদের সেখানে যেতে একটু দেরি হয়েছে। এমনিতে পরিষেবা চালু রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা মূলত নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আরও বেশি করে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।"