কলকাতা, 12 জুন: গরমে নাভিশ্বাস উঠছে পড়ুয়াদের ৷ তবুও এই অবস্থায় রোজ তাদের যেতে হচ্ছে স্কুল ৷ গরমের ছুটি বাড়েনি ৷ তবে তাপপ্রবাহের জন্য স্কুলের সময় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর । ছোট ছোট পড়ুয়াদের গরম থেকে রেহাই দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুলগুলিতে ক্লাসের সময় পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে বুধবার ৷
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী স্কুলগুলি তাদের নিজস্ব পঠন-পাঠনের সময়সীমা পরিবর্তন করতে পারে । অর্থাৎ, দুপুরের বদলে পঠনপাঠনের সময় সকালের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে । এই মর্মেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিকাশ ভবন । রাজ্য সরকার এবং সরকার পোষিত সকল স্কুলের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি গ্রাহ্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে । শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদও । স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুলের সময় পরিবর্তনের কথা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
স্কুলের সময় পরিবর্তন নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি (নিজস্ব ছবি) দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে লাগাতার তাপপ্রবাহ জারি রয়েছে ৷ পারদ উঠছে 36 ডিগ্রির উপরে ৷ এরই মধ্যে গরমের ছুটি শেষে গত সোমবার থেকে খুলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি ৷ কিন্তু স্কুল খুললেও উপস্থিতির হার অনেকটাই কম । কারণ তীব্র গরমে বহু অভিভাবকই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধাবোধ করছেন। এছাড়াও স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। সবদিক বিবেচনা করেই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, যাতে স্কুলের সময় পরিবর্তনের কারণে কোনওভাবেই পঠনপাঠন কিংবা মিড ডে মিল পরিষেবা ব্যাহত না-হয় ।
শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা । দমদমের শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক অসীমকুমার নন্দ বলেন, "সরকারের এই ভাবনাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি । স্কুলের সময় এগিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি ।" এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বক্তব্য, "এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাচ্ছি । পাশাপাশি আমরা দাবি করছি, বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী 65 দিনের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় বিদ্যালয়গুলিতে 85টি করে ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং বিদ্যালয়গুলি যাতে স্বাধীনভাবে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ছুটি পরিস্থিতি অনুযায়ী নিতে পারে তার অনুমতি দেওয়া হোক । তবেই সার্বিকভাবে পঠনপাঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব । আলাদাভাবে সরকারকে অতিরিক্ত ছুটি'র ঘোষণা করতে হবে না।"