কলকাতা, 23 অক্টোবর: পুজোর পর রেশন দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ৷ বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ সূত্রের খবর, মোট 14টি জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাধিক দল বেরিয়েছে ইডি দফতর থেকে ৷ সকাল সকালই তাঁদের একটি দল পৌঁছে যায় কলকাতার বাঙুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ৷ দক্ষিণ কলকাতার বাঙুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাজির হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবয়ায়ীর সঙ্গে রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে কী যোগ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷
রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি (ইটিভি ভারত) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেশন দুর্নীতির লভ্যাংশের টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল এবং সেই সব অ্যাকাউন্ট ভালোভাবে খতিয়ে দেখার পর এই ব্যবসায়ীর নাম পেয়েছেন তাঁরা ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাঙুর এলাকাতেই ওই ব্যবসায়ীর দু’টি বাড়ি আছে ৷ একযোগে দু’জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন নথি ৷ সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকেরা ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট মারফত রেশন দুর্নীতির লভ্যাংশের টাকা বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছিল ৷ ফলে এক ব্যবসায়ী হয়ে তিনি কীভাবে রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত হলেন এবং একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে ৷
বাঙুর ছাড়াও হাওড়ার পাঁচলার এক রেশন ডিলারের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডির আরেকটি দল ৷ প্রথমে লোকনাথ সাহা নামে ওই ডিলারের বাড়ি যান ইডি আধিকারিকরা ৷ তারপর তাঁকে নিয়ে তাঁর গোডাউনে হানা দেয় ৷ এলাকার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ হয় তাঁর গোডাউন থেকেই ৷ সেই সংক্রান্ত বিষয়েই তদন্ত করতে এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে ৷
রেশন দুর্নীতি মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে ইডি ৷ রেশন দুর্নীতি মামলা এর আগে উত্তর 24 পরগনার ব্যবসায়ী বলে পরিচিত বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ পরে বাকিবুরের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পারেন রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমল্লিক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম ৷ তাঁর বাড়ি এবং কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর শেষে মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷