কলকাতা, 11 জুন: মাছ রফতানি করে বছরে 198 কোটি কালো টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরিত করেছে শেখ শাহজাহান। মোটা অঙ্কের সেই টাকা গিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অ্যাকাউন্টে ৷ মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন ইডি'র তদন্তকারীরা ৷
সম্প্রতি নগর দায়রা আদালতে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে বলা হয়েছে, প্রায় 900 বিঘা জমি শাহজাহান এবং তার অনুগামীরা দখল করে রেখেছে। সেই জমিকে মাছের ভেড়িতে রূপান্তরিত করা হত ৷ সেই ভেড়িতেই মাছ চাষ করে রফতানি করা হত ৷ আর মাছ রফতানি করেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা মোট পাঁচজন কোটি কোটি কালো টাকার হিসাব রাখত। সূত্রের খবর, এই পাঁচ ব্যক্তির খোঁজে রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
এর আগে শেখ শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামে একটি সংস্থা তদন্তকারীদের নজরে আসে ৷ সংশ্লিষ্ট সেই সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কালো থেকে সাদা করার অভিযোগ এনেছিল ইডি ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে এসকে সাবিনা নামে এই সংস্থা প্রায় 90 কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এর আগে তদন্তে নেমে 5 জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি'র আধিকারিকরা ৷ সেই ঘটনার পর দীর্ঘ টালবাহানার শেষে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি'র হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান।
পরে শেখ শাহজাহানকে সিআইডি'র থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। উল্লেখ্য, 14 দিনের জেল হেফাজত শেষ হওয়ার পর 7 জুন ফের সন্দেশখালি-কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' জেলবন্দি শেখ শাহজাহানকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে । তারই সঙ্গে এদিন আদালতে তোলা হয় তাঁর ভাই শেখ আলমগীর, শাহজাহানের অনুগামী দিদার বক্স মোল্লা-সহ আরও কয়েকজনকে ।