দার্জিলিং, 20 সেপ্টেম্বর: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিস ৷ তারই তীব্র বিরোধিতায় সরব উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকরা ৷ সুপার স্পেশালিটি ব্লক থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিস সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহাকে স্মারকলিপি দিলেন অধ্যাপক-চিকিৎসকরা ৷
প্রসঙ্গত, দু'মাস আগে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের জন্য ঘর বরাদ্দ করেন ৷ এমনকি কৌস্তভ নায়েক নিজে এসে ওই অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন ৷ অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন ওএসডি তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি চিকিৎসক সুশান্ত রায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে ওই ব্লকে কাউন্সিলের অফিস তৈরি ও তা দখল করেন ৷
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে কাউন্সিলের অফিস সরানোর দাবিতে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি (ইটিভি ভারত) এ নিয়ে অধ্যাপক-চিকিৎসকদের অভিযোগ, ওই অফিস থেকেই গোটা উত্তরবঙ্গে সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিষেবায় নিজেদের প্রভাব খাটানো, থ্রেট কালচার ও দুর্নীতি চালাচ্ছিল উত্তরবঙ্গ লবি ৷ যে কারণে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে ওই অফিস অবিলম্বে সরানোর দাবি তুলেছেন অধ্যাপক-চিকিৎসকরা ৷
এই বিষয়ে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, "ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল একটি স্বশাসিত সংস্থা ৷ আর এখানে তার অফিস করে উত্তরবঙ্গে থ্রেট কালচারের আঁতুরঘর তৈরি হয়েছিল ৷ এটা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে কীভাবে হয় ? আমরা কোনও মতে এটা ক্যাম্পাসে রাখতে দেব না ৷ আর এসব চলছিল সুশান্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে ৷ তাঁর নিজেরে একটা অফিসও আছে ৷"
হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক অরুণাভ সরকার বলেন, "যখন এই ব্লক তৈরি হয়, তখন কোথায় ছিল এই থ্রেট কালচারের সদস্যরা ? এখানে অফিস করার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখান ৷ থ্রেট কালচারকে একটা মার্কেটিং লেভেলে নিয়ে গিয়েছিল ৷ টাকা দিয়ে সব হত ৷"
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিস ৷ (নিজস্ব চিত্র) ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহকারি রেজিস্ট্রার স্বরূপ দত্ত বলেন, "এখানে প্রাক্তন সহ-সভাপতি অনেকবার এসেছেন ৷ মূলত, সংস্থার কাজের জন্য খোলা হয়েছিল ৷" তবে, এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ সাহা ৷ তিনি জানান, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার কথায় ওই ঘরগুলি দেওয়া হয়েছিল ৷ এখন সমস্যার সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ৷ যা নির্দেশ আসবে সেইমতো কাজ হবে ৷