কলকাতা, 10 নভেম্বর: শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ অভিযোগ, শনিবার রাতে মদ্যপান করে নিজের বাড়িতে না-গিয়ে পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি ৷ সেখানে এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করেন বলে অভিযোগ ওঠে বর্তমানে এন্টালি থানায় কর্মরত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়ালে অবশেষে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সন্তোষলাল প্রসাদ । শম্ভুবাগান লেনের বাসিন্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক এই বিষয়ে ইটিভি ভারতকে বলেন,"আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরই পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছি । গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে ।"
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে অন্য এক যুবকের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের এই সিভিক ভলান্টিয়ার মদ্যপান করেন। এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে অভিযোগ জানান, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এতটাই মদ্যপান করেছিলেন যে তাঁর কোনও হুঁশ ছিল না ৷ প্রায় বেহুঁশ অবস্থাতেই নিজের বাড়িতে না ঢুকে পাশের বাড়িতে ঢুকে পড়েন ।
যদিও এলাকার একাংশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এর আগেও এই ধরনের নানা ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। ফলে তিনি যে উদ্দেশ্যহীনভাবে শুধুমাত্র নেশার ঘোরে পাশের বাড়ির এক মহিলার সামনে চলে এসেছিলেন তেমনটা নাও হতে পার। হয়তো যা করেছেন তার সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে আসে এন্টালি থানার পুলিশ। এরপর ওই মহিলার পরিবারের তরফ থেকে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয় । তার ভিত্তিতে রবিবার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ । আরজি করের পর এই ঘটনায় ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে লালবাজার ৷
যদিও আরজি করের ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি উদ্যোগ নিয়েছিল লালবাজার । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক অফিসার ইনচার্জের বক্তব্য, সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের সেই পরিকল্পনাটি লালবাজারে ঠান্ডা ঘরেই থেকে গিয়েছে । বাস্তবে তা আর রূপায়িত হয়নি ৷