বর্ধমান, 24 মে: রাজ্যে কেউ সুরক্ষিত নয় ৷ এমনকী ভিন দেশের কোনও মানুষ এ রাজ্যে নিরাপদ নয় ৷ শুক্রবার চা-চক্রে এমনই অভিযোগ করলেন দুর্গাপুর-আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ৷ তবে এই নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ক্ষমতায় থাকবেন না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ৷
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "এবারের নির্বাচনে এই বোধহয় এবার প্রথম বার খুন ৷ একজন 56 বছর বয়সি মহিলাকে যেভাবে খুন করা হল, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা কতটা আছে!" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "তাছাড়া বাংলাদেশের একজন সাংসদ এখানে চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়ে গেলেন ৷ এখানে বিদেশিরাও সুরক্ষিত নন ৷ এই রাজ্যে আদতে কারও সুরক্ষা নেই, সেটা বোঝাই যাচ্ছে ৷"
বর্ধমানে চা-চক্রে মমতাকে কড়া আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (নিজস্ব ভিডিয়ো) বুধবার গভীর রাতে খুন হন নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ি (56) ৷ তাঁর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাবাজার এলাকা ৷ অভিযোগ, ওই মহিলা বিজেপি কর্মীকে রাতের অন্ধকারে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৷ অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ৷
আরও পড়ুন:ভোটে জিতলে তবেই উন্নয়ন, শাসক নেতার কথায় তুঙ্গে বিতর্ক
এদিন বর্ধমান শহরে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান শহরের বাদামতলা মোড় থেকে জিটি রোড ধরে বীরহাটা পর্যন্ত তিনি প্রাতঃভ্রমণ করেন। পরে চা চক্রে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ ৷ আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে, সেটা উনি বুঝতে পেরেছেন। তাই মানুষ সরিয়ে দেওয়ার আগে সসম্মানে তাঁর সরে যাওয়াই ভালো।"
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের প্রতিবাদে এদিনই শহরে খালি পায়ে পথে নামতে চলেছেন সাধু-সন্তরা। সেই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই রাজ্যের বিভিন্ন পেশার মানুষরা কোনও না কোনওভাবে প্রতারিত বা বঞ্চিত হয়েছেন। বাকি ছিলেন সাধু-সন্তরা ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদেরও অসম্মান করলেন। এখন তারাও বুঝে গিয়েছেন তৃণমূল সরকার থাকলে মন্দির-মঠ চালানো মুশকিল হয়ে যাবে। মন্দির-মঠের সম্পত্তি লুঠ হয়ে যাচ্ছে, সাধু-সন্তরা মারা যাচ্ছেন। গঙ্গাসাগর যাওয়ার সময় পুরুলিয়াতে সাধুদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের মারা হয়েছিল। আজ সাধুদের জীবন ও ধন সম্পত্তির সুরক্ষা নেই। তাই তাঁরা এবার পথে নামছেন।"
আরও পড়ুন:শেষ প্রচারে ব্যস্ত দেব, থানা-হাসপাতাল ঘুরেই কাটল হিরণের; দিলেন ডিগ্রি নিয়ে জবাব