কলকাতা, 21 ডিসেম্বর: নিউ আলিপুরে দুর্গাপুর ব্রিজের নিচের ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন ৷ শনিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৷ দুর্গাপুর ব্রিজের দু’ধারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় ৷ যার জেরে দুর্গাপুর ব্রিজে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ দমকল সূত্রে খবর, প্রায় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে পেরেছেন দমকল কর্মীরা ৷
শুরুতেই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ৷ তারপর দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে দমকলের প্রাথমিকভাবে 18টি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে পৌঁছায় ৷ আরও দু’টি ইঞ্জিন অতিরিক্ত পাঠানো হয়, প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ৷
দমকলকে সাহায্য করতে নিউ আলিপুর ক্যাম্প থেকে এগিয়ে আসেন সেনা কর্মীরা ৷ তাঁর ব্রিজের উপর থেকে আগুন নেভাতে দমকলের সঙ্গে হাত লাগান ৷ দুর্গাপুর ব্রিজের উপর থেকে লাগাতার জল দিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে শিয়ালদা-বজবজ শাখায় সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয় ৷
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে বিপি পোদ্দার হসপিটাল, নিউ আলিপুর মাল্টি পারপাস স্কুল এবং নিউ আলিপুর কলেজ ৷ এমনকি একাধিক বাড়ি ও বহুতল রয়েছে এই দুর্গাপুর ব্রিজের গা-ঘেঁষে ৷ ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ঝুপড়িগুলির পাশে কয়েকটি খাবারের হোটেলও ছিলও ৷ কাঠ, প্লাস্টিক-সহ নানান দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝুপড়ির এই ঘরগুলি তৈরি করা হয়েছিল ৷ ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ তবে, ঠিক কীভাবে এই আগুন লেগেছে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না দমকল আধিকারিকরা ৷
উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলার দিকে তপসিয়ায় বিস্তীর্ণ ঝুপড়ি এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগে ৷ যে ঘটনায় বহু মানুষ বাসস্থান হারিয়েছেন ৷ আর তার 24 ঘণ্টা পরে নিউ আলিপুরের এই ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল ৷ উল্লেখ্য, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
মেয়র জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ দমকল খতিয়ে দেখবে ৷ তবে, দু’দিনে শহরের দু’টি জায়গায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যে চিন্তার কারণ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷ কেন এই আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি, সেনার সাহায্যের জন্য ধন্যবাদও জানান মেয়র ৷ কিন্তু, শীত রাতে মাথায় বৃষ্টি নিয়ে ঝুপড়ির বাসিন্দারা কোথায় যাবেন, কী হবে তাঁদের, এর উত্তর মেলেনি ৷