কলকাতা, 21 জুন: নির্বাচনের মাসে এসেছে অস্বাভাবিক ইলেকট্রিক বিল ৷ চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষরা । কোনও স্কুলে বিল 40 হাজার, আবার কোনও স্কুলে 16 হাজার । কোনও স্কুলে আবার বছরের সব থেকে বেশি বিল এসেছে মে মাসেই । বিল পেয়ে এবার নড়েচড়ে বসল শিক্ষা দফতর ।
অস্বাভাবিক বিল আসার কারণ হিসাবে অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । কারণ নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়েছিল । 22 এপ্রিল থেকে 3 জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল স্কুল । ফলে গোটা মে মাস স্কুল বন্ধ থাকায় কীভাবে এত টাকা বিল এল, তা নিয়ে চিন্তায় প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "এই বিষয়ে স্কুলগুলি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুক, এটা সাংঘাতিক বিষয় ।" শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে নড়েচড়ে বসে স্কুল শিক্ষা দফতর । ডিআইদের (ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অব স্কুল সেকেন্ডারি এডুকেশন) একটি অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে, কিছু জায়গায় সঠিকভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার করা হচ্ছে । স্কুলগুলিতে ক্লাস শেষের পরেও অনৈতিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে ।
অ্যাডভাইজারি জারি করল শিক্ষা দফতর (ইটিভি ভারত) বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় । অপ্রয়োজনীয় কারণে বিদ্যুৎ খরচ করা যাবে না । প্রত্যেক অফিসেও একই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে । অফিস কর্তৃপক্ষ যেন তাঁদের নিম্ন অফিসারদের কড়া নির্দেশ দেয় । বিদ্যালয়গুলিতে অনৈতিকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য পর্যবেক্ষণে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে । সেই অনুযায়ী রিপোর্ট দিতে হবে ৷
যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘‘বিল এসেছে 35 হাজার 86 টাকা । পুরো মাস জুড়ে স্কুলে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল । হ্যালোজেন আলো, জলের পাম্প, আলো পাখা যখন তখন জ্বালিয়ে রাখত । ফলে বিল বেশি আসবে সেই ভয়টা পেতাম ৷ কিন্তু এতটা বেশি বিল আসবে তা ভাবতে পারিনি ।’’
অন্যদিকে চেতলা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার গলাতেও এক সুর । তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সাধারণত বিল আসে 7 হাজার টাকার কাছাকাছি । কিন্তু এবার সেই বিল দাঁড়িয়েছে 18 হাজারে । এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকাকালীন আমাদের স্কুলে প্রায় তিনবার পাম্প নষ্ট হয়েছে । যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হয়েছে আলো-পাখা ।’’ অন্যদিকে যাদবপুর এনকে পাল আদর্শ শিক্ষায়তন স্কুলে বিল এসেছে 40 হাজার টাকা । একই অভিযোগ নারায়ণ দাস বাঙুর মাল্টিপারপাস এবং পার্ক ইনস্টিটিউশন থেকে ।