আসানসোল, 19 অক্টোবর: এক শ্রেণির স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীরা চাইছেন, সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো যতদিন বিগড়ে থাকবে, ততই লাভ বাড়বে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে। সেই কারণে ওই এক শ্রেণির স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীরা জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছেন। তাঁরাই মূলত এই আন্দোলন পরিচালনা করছেন। শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এদিন সালানপুরের রুপনারায়ণপুরে ব্লক স্তরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়-সহ অনান্য তৃণমূল নেতা। আজ দেবাংশু দাবি করেন, প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলি রোগীর পরিবারের পকেট কেটে অহেতুক পাহাড় প্রমাণ যে খরচের বোঝা চাপাত, তাতেই কাঁচি চালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই এত ক্ষুব্ধ ওনারা।
চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের (ইটিভি ভারত) এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দেবাংশু বলেন, "2016 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাইভেট নার্সিংহোম ও মেডিক্যাল কলেজের মালিকদের ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এত বিল কেন হয় আপনাদের ? এটা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের প্রথম অপরাধ। মৌচাকে ঢিল মেরেছিলেন। প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলোর ব্যবসাতে কাঁচি চালিয়েছিলেন।"
তৃণমূল যুবনেতা এদিন আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় অপরাধ, তিনি নিয়ম করেছিলেন ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে যা খুশি ওষুধের নাম লিখতে পারবেন না। জেনেরিক ওষুধের নামই লিখতে হবে। ফলে চড়া দামের ওষুধ লেখা থেকে ডাক্তারদের বিরত হয়ে জেনেরিক ওষুধের নামই লিখতে হল তাঁদের। আর তৃতীয় অপরাধ হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী নামে একটি কার্ড করলেন। যাতে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচরও বেঁধে দেওয়া হল। এই কারণে কিছু ডাক্তারের একের পর এক রাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তাই স্বাস্থ্য ব্যবসায় ভাটা পড়াতেই এই আন্দোলনের উস্কানি দিচ্ছেন ওই চিকিৎসকরা।"
এরপর দেবাংশু ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাজ্যে 93 হাজার যে রেজিস্টার্ড ডাক্তার আছে, তার মধ্যে 25 হাজার চিকিৎসক সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করেন। এই সংখ্যাটা হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তার। সরকারি পরিকাঠামো এই 25 হাজার চালাচ্ছেন। তাই জিচিকিৎসকদের এই আন্দোলনে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।"
মুখ্যমন্ত্রী বারবার নানা ঘোষণার পরে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থামছে না। কেন ? দেবাংশুর দাবি, সরকারি হাসপাতালে যতদিন চিকিৎসা বন্ধ থাকবে ৷ ততদিন প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলোর লাভ। এই সিস্টেমটা ফলো করেই আন্দোলনকে 'ক্রিয়েট' করা হয়েছে ৷