বোলপুর, 14 ফেব্রুয়ারি: 'হেরিটেজ' তকমা রক্ষা করতে এবারও দোলের দিন বসন্তোৎসব হচ্ছে না বিশ্বভারতীতে। পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও আশ্রমিকদের নিয়ে আলাদাভাবে বসন্তোৎসব করবে বিশ্বভারতী। সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ । শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মিমণ্ডলীর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ।
2023 সালের 17 সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো । এই 'হেরিটেজ' তকমা রক্ষা করতে এবারও দোলপূর্ণিমার দিন বিশ্বভারতীতে হবে না বসন্তোৎসব। এবার দোলপূর্ণিমা 14 মার্চ ৷ তার কয়েকদিন আগে 11 মার্চ বসন্তোৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী । কারণ 14 মার্চ শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকবে ৷ তাই ওই দিন বসন্তোৎসব করলে বহিরাগতদের আশ্রমে প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকতে পারে ৷ এদিন, বসন্তোৎসব নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, "ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বিশ্বভারতী। তাই হেরিটেজ রক্ষা করতে বহিরাগত প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ 11 মার্চ বিশ্বভারতী নিজেদের মধ্যেই এই উৎসব পালন করবে ৷ এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"
বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হত আশ্রম মাঠে ৷ আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘণ্টায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হত ৷ অতীতে উৎসবের সূচনার পরই বহিরাগতদের তাণ্ডবের সাক্ষী হয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিক এবং শান্তিনিকেতনবাসী সকলেই ৷ এই আশ্রম মাঠ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চৈতি বাড়ি, গৌরপ্রাঙ্গণ, ঘণ্টাতলা, কালো বাড়ি, রামকিঙ্কর বেইজের মূল্যবান ভাস্কর্য প্রভৃতি । তাতেও আবির দেওয়া হত ৷