ঝাড়গ্রাম, 15 সেপ্টেম্বর: নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে তারাফিনী নদীর জল বেড়ে ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার মধ্যে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অপরদিকে ডুলুং নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে জামবনী ব্লকের যোগাযোগ। এই দু'টি নদী ছাড়াও জলস্থর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে সুবর্ণরেখা এবং কংসাবতীর।
জলস্তর বাড়তেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার (ইটিভি ভারত) গোপীবল্লভপুর 2 নম্বর ব্লকের কাঁথুয়া খালের জল বেড়ে যাওয়ায় তপসিয়া ও গোপীবল্লভপুরের মাঝে থাকা কজওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঝাড়গ্রামের । গোয়ালমারায় ডুলুং নদীর উপর কজওয়ে ডুবে যাওয়ায় লোধাশুলি সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে রগড়া এলাকার । বিনপুর 2 নম্বর ব্লকের হাওড়া থেকে বক্সী যাওয়ার রাস্তায় তারাফিনী নদীর জল বাড়ায় বক্সী সংলগ্ন এলাকায় থাকার কজওয়েটি জলের তলায় ডুবে যায়।
বিনপুর 2 নম্বর ব্লকের ভেলাইডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এঁটেলা এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে তারাফেনী নদী। এঁটেলায় ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া 5 নম্বর রাজ্য সড়ক নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে যায়। ফলস্বরূপ যান চলাচল বন্ধ হয়েছে রাজ্য সড়কে। যার ফলে রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে দূরপাল্লার বহু পণ্যবাহী লরি। এলাকার বাসিন্দা সোহম হালদার বলেন, "নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে তারাফিনী নদীর জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে কজওয়ের উপর দিয়ে বইছে। গতকাল রাত থেকেই এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।"
বিপদসীমার উপর দিয়ে জল বইছে নদীতে (ইটিভি ভারত) শুক্রবার গভীর রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় জেলাজুড়ে। শনিবারও বিন্দুমাত্রা কমেনি বৃষ্টি। শনিবার সারারাত বৃষ্টির পরেও রবিবার সারাদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়। ফলস্বরূপ সময় যত গড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত নদীগুলির জল স্তর ততোই বেড়েছে। যার ফলে রবিবার ভোর রাত থেকে নদী গুলির উপর দিয়ে থাকা কজওয়েগুলি ধীরে ধীরে জলের তলায় যেতে শুরু করে। রবিবার দুপুরের পর কজওয়ে গুলি সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়।
কজওয়ে ডুবে যাওয়ায় লোধাশুলি সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে রগড়া এলাকার (ইটিভি ভারত) প্রতিবছর বর্ষার সময় নদীর জল বাড়ার কারণে চিল্কিগড়ের কজওয়ে জলের তলায় চলে যায়। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে সেতু নির্মাণের। স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব মাণ্ডি বলেন, "প্রতিবছর বর্ষা হলেই কজওয়েটি ডুবে যায়। ফলে আমরা চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য যেতে পারি না। এখান থেকে 13 কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম যেতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ঝাড়গ্রাম আসতে পারেন না। এবারের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ডুলুং নদী। আগে কখনো এত জল দেখিনি। নদীর উপরে বড় সেতু নির্মাণ করা হলে আমাদের আর সমস্যায় করতে হবে না।"