কলকাতা, 23 জুলাই: তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর প্রথম বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ এই বাজেটে সোনা ও মোবাইলের দাম কমেছে ৷ অন্যদিকে আয়কর কাঠামোতেও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে ৷ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা এই বাজেটকে শরিকদের খুশি করার বাজেট বলে কড়া সমালোচা করেছেন ৷ পাশাপাশি বাজেটে রাজনৈতিক পক্ষপাত হয়েছে বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার দেখে নেওয়া যাক বাজেট নিয়ে কী বলছে কলকাতা ?
2024-25 অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কী বলছে বঙ্গবাসী ? (ইটিভি ভারত) মধ্যবিত্ত শ্রেণির কারও কারও মতে সোনা থেকে শুরু করে মোবাইলের দাম কমলেও তা নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় ৷ তাই সাধারণ মানুষের আখেরে তেমন কোনও লাভই হয়নি ৷ অন্যদিকে আবার সোনার দাম কমার সুযোগে কেউ কেউ সোনা কিনে রাখার কথাও ভাবছে ৷
শহরের বাসিন্দা প্রদীপ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বললেন, "এই মুহূর্তে আমার আয় 15 লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে বেশি হলে আমায় 30 শতাংশ কর দিতে হবে ৷ এমনকী দোকান থেকে কিছু কিনলেও তাতে আমার মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে কর দিতে হয় ৷ তাই আমি এই বাজেট থেকে খুশি নই ৷" এলিনা বললেন, "সোনা ও মোবাইলের দাম কমলেও মানুষের খরচও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ৷ হয়তো মোবাইলের দাম কমেছে, কিন্তু রিচার্জের দিকটা ভাবতে হবে। তাহলে কোথাও না কোথাও পুরো বিষয়টি ঘুরেফিরে একই হচ্ছে ৷ অনেকটা বেড়ে তারপর সামান্য কমেছে ৷ এতে সব দিকে ভারসাম্য রেখে মধ্যবিত্ত বাঙালি কীভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সেটা চিন্তার বিষয় ৷"
এই প্রজন্মের সবাই হাতে মোবাইল চায় বলে জানালেন সুজিত ৷ তাঁর কথায়, "মোবাইলের দাম কমায় অনেকে খুশি হয়েছে ৷ তবে যাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া করে চালায়, তাঁদের তো ক্ষতিই হচ্ছে ৷ 30 শতাংশ কর দেওয়া মানে অনেক টাকা ৷ এটা সরকারের দেখা উচিত ৷" অন্যদিকে সোনার দাম কমার ফলে সোনা কেনার ভালো সময় বলে জানালেন এক তরুণী ৷ তবে এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য আরেকটু স্বস্তি দিতে পারত, জানালেন প্রতীক ৷