পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চালকের ভুলে নয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় কারণ হিসেবে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য - KANCHANJUNGHA EXPRESS ACCIDENT

Kanchanjungha Express Accident: বালেশ্বর ট্রেন বিপর্যয়ের স্মৃতি উসকে গত 17 জুন শিলিগুড়ির রাঙাপানির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৷ তাতে মৃ্ত্যু হয়েছিল প্রায় 10 জনের ও আহতের সংখ্যাটা প্রায় 50 ৷ বলা হয়েছিল, এই দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালকের ভুলেই হয়েছে ৷ কিন্তু মঙ্গলবার যে 29 পাতার প্রভিশনাল রিপোর্ট চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি দিলেন তাতে কারণটা অন্য ৷

Kanchanjunga Express Accident
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 16, 2024, 4:15 PM IST

Updated : Jul 16, 2024, 5:54 PM IST

শিলিগুড়ি, 16 জুলাই: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্তের প্রভিশনাল রিপোর্ট দিলেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ। মঙ্গলবার তিনি রেল বোর্ডের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেন বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। আর রিপোর্টে, ওই দুর্ঘটনার সময়কার একাধিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মোট 29 পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তিনি।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রিপোর্টে উল্লেখ চাঞ্চল্যকর তথ্য (ইটিভি ভারত)

রিপোর্টে জানানো ত্রুটিগুলো হল-

  1. রাঙাপানি রেল স্টেশন মাস্টারের তরফে অটোমেটিক সিগন্যালিং খারাপ থাকায় T/D 912-এর পরিবর্তে T/A 912 ইস্যু করা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। কারণ T/A 912 ইস্যু করা হলে তাতে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি উল্লেখ করা ছিল না।
  2. মালগাড়িকে কশন অর্ডার (Caution Order) ইস্যু না-করা।
  3. মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও ট্রেন ম্যানেজারের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী বা ওয়াকিটকি না-থাকা।
  4. স্টেশন মাস্টারের T/A 912 মেমোতে ট্রেন ম্যানেজারের সই করানো উচিত ছিল, যা করানো হয়নি।
  5. অটোমেটিক সিগন্যালিংয়ে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রেন চালক ও স্টেশন মাস্টারদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
  6. T/A 912 ইস্যু করা হলে ট্রেন চালক, ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের কী কী পদক্ষেপ করা উচিত সেই বিষয়ে ট্রাফিক ইনস্পেক্টর ও চিফ লোকো ইন্সট্রাক্টরের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।

বিশদ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে ছাড়ার পর মালগাড়ি ট্রেনের চালক ও ট্রেন ম্যানেজারকে ওয়াকিটকি ইস্যু করা হয়নি। তার বদলে ট্রেনের চালক ও ম্যানেজার সিইউজি ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন। ওইদিন মোট ন'টা সিগন্যাল খারাপ ছিল। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিসিআরএস জানিয়েছেন, এইদিন রাঙাপানির কাছে আরএইচ 1.29-এর একটি বাঁক রয়েছে। ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস 10.97 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলছিল এবং বাঁকের পরই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে ওই বাঁকের কাছেই সেই সময় আপ লাইনে নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ির দিকে আসছিল।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রিপোর্ট (ইটিভি ভারত)

কিন্তু ডাউন লাইনে প্রায় 78 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় যাচ্ছিল মালগাড়ি ট্রেনটি। বাঁকের কারণে আপ লাইনে থাকা নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ঢাকা পড়ে যায়। বাঁক পার করার পর 332 মিটার আগে AS652 সিগন্যালের কাছে এমার্জেন্সি ব্রেক কষেছিল সহকারি চালক ও চালক। কিন্তু গতি কমে হয়ে যায় প্রায় 40 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ৷ তারপরই মালগাড়ি ট্রেনটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে।

Last Updated : Jul 16, 2024, 5:54 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details