কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: একাধিক দাবিতে কলকাতায় কৃষক, শ্রমিক ও খেতমজুররা মিছিল করলেন । সেই মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা ৷ পরে অবশ্য মিছিল নির্দিষ্ট জায়গা থেকে শুরু হয় ৷ আর যেখানে শেষ হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই শেষ হয় ৷
মঙ্গলবার ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এবং খেতমজুর নেতা নিরাপদ সরদারের মুক্তি ও মুর্শিদাবাদে আইন অমান্যের সময় আটক হওয়া সিপিএম কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে । তাতে বাধ সাধে কলকাতা পুলিশ । ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের ।
পুলিশের বক্তব্য ছিল, মিছিল লেনিন মূর্তির পিছনে ট্রাম ডিপোতে শেষ করতে হবে । কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত যাওয়া যাবে না । কিন্তু কৃষক-শ্রমিক-খেতমজুর নেতারা পালটা দাবি তোলেন, আগে থেকে তা জানানো উচিত ছিল । মিছিলের বিষয়ে আগে থেকেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল । ফলে মিছিল হবে । এরপরে দু'পক্ষের দীর্ঘ বাদানুবাদে পুলিশ মিছিলের অনুমতি দিতে বাধ্য হয় বলে আন্দোলকারীদের দাবি । বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে মিছিল ধর্মতলা লেনিন মূর্তি থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত যায় । 6টা 10 মিনিট নাগাদ মিছিল শেষ হয় ।
সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেন, "গত 13 ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে শ্রমিক-কৃষক খেতমজুরদের উপর পুলিশের বর্বর আক্রমণে নিহত আনারুল ইসলামের মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর বর্বর পাশবিক অত্যাচার, কৃষকদের জমি দখল ও সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দোষীকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে । কৃষক-খেতমজুর আন্দোলনের নেতা নিরাপদ সরদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ও তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে ।’’
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালিতে পুলিশের গাফিলতির কথা মানলেন ডিজি, দাবি রেখা শর্মার
- সন্দেশখালির মহিলাদের জন্য মিশন 'সন্তোষ কালী' চালু রাজ্যপালের
- সন্দেশখালিতে আগামী সাতদিনের জন্য 144 ধারা স্থগিতাদেশের নির্দেশ হাইকোর্টের