কলকাতা, 28 অগস্ট: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ প্রাথমিকে 14 হাজারেরও বেশি নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন । পুনরায় মুল্যায়ন করতে গিয়ে যে 1463 জনকে বাতিল করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, তাঁদেরকে নিয়ে নতুন করে কাউন্সেলিং করতে হবে । মোট 14052 জন প্রার্থীকে কাউন্সেলিং শেষে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে । এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে । এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য (ইটিভি ভারত) ঘটনা পরম্পরা :
2016 সালের 23 সেপ্টেম্বর 14339টি শূন্যপদে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন । 2019 সালের 27 জুন প্রথম দফায় পার্সোনালিটি টেস্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করে সার্ভিস কমিশন । ইতিমধ্যে 2018 সালে ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের দাবিতে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে । কারণ যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও অনেকেই সুযোগ পাননি এই দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল । 2018 সালের পরে একাধিক মামলা দায়ের হয় ।
স্কুল সার্ভিস কমিশন যে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল সেই তালিকায় অনিয়ম হয়েছে মনে করে 2020 সালের 11 ডিসেম্বর সম্পূর্ণ মেধাতালিকা বাতিল করেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য । একইসঙ্গে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন । এরপর নতুন করে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হয় । সেখানে 1463 জনকে বাদ দেওয়া হয় । তার বিরুদ্ধে ফের মামলা হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে । অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে । এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় । সৌমেন সেন কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু পরে তিনি সেই মামলা না শুনে ছেড়ে দেন । সেই মামলা আসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে । সেই মামলাতেই আজ নতুন করে নিয়োগের এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৷